শ্রীনগর (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি : মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে বঙ্গবন্ধু এক্সপ্রেসওয়ের সার্ভিস লেনের পাশে সড়কের জায়গা দখল করে গড়ে উঠেছে স্পীড বোটসহ ফাইবার গ্লাসের যাবতীয় মেটারিয়াল তৈরীর কারখানা। সড়কের সার্ভিস লেনের ব্লকের ওপরে লাইন ধরে রাখা হয়েছে স্পীড বোটসহ কারখানার যাবতীয় মালামাল। এতে ব্যস্ততম সড়কে যানবাহন চলাচলে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে।

অপরদিকে সড়কের পাশে ভরাট ও স্থাপনা নির্মাণের ফলে সার্ভিস লেনের পানি নিস্কাশনের ড্রেনগুলো সম্পূর্ণরূপে বন্ধ হয়ে গেছে। এই পরিস্থিতিতে প্রায় ৩শ’ ফুট সার্ভিস লেন সড়কে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। বঙ্গবন্ধু এক্সপ্রেসওয়ের শ্রীনগর উপজেলার সমষপুর ও দোগাছির মাঝামাঝি রেল স্টেশনের বিপরীত দিকে অথাৎ সড়কের পশ্চিম পাশের সার্ভিস লেনের জায়গায় গড়ে উঠেছে ‘রূপা মটর ওয়ার্কসপ এন্ড ফাইবার গ্লাস’ নামক ছাড়পত্রবিহীন কারখানাটি। কারখানাটির মালিক মো. খলিল বেপারী। সে পার্শ্ববর্তী লৌহজং উপজেলার উত্তর মেদিনী মন্ডলের আলাউদ্দিনের ছেলে। অভিযোগ উঠেছে আজাহার উকিল নামে এক ব্যক্তি এক্সপ্রেসওয়ের ওই জায়গা ভরাট করে কারখানার মালিকের কাছে ভাড়া দিয়েছে মাসিক ভাড়া আদায় করছেন।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, দোগাছিতে মহাসড়কের সার্ভিস লেন সংলগ্ন টিনের শেড কারখানার যাবতীয় কাজকর্ম করা হচ্ছে। বিভিন্ন ক্যামিকেলের সংমিশ্রনে ফাইবার তৈরী করছেন শ্রমিকরা। এক্সপ্রেসওয়ের সার্ভিস লেন সমান করে সড়ক ব্লকের ওপর রাখা হয়েছে স্পীড বোটসহ অন্যান্য জিনিসপত্র।

দেখা যায়, যত্রতত্রভাবে কারখানাটি স্থাপণের কারনে বৃষ্টির পানি সড়কে জমে যাচ্ছে। মাটি ভরাট করায় সড়কের ড্রেজেন ব্যবস্থা সম্পূর্ণরূপে বন্ধ হয়ে গেছে।

শ্রমিক মো. শফিক বলেন, আমরা ৬ জন স্পীড বোট কারখানায় কাজ করেন। কারখানার বিষয়ে কিছু জানতে হলে ম্যানেজারের সাথে কথা বলুন।

ম্যানেজার মো. তপু শেখ বলেন, প্রায় দেড় মাস যাবত এখানে কারখানাটি আনা হয়েছে। এর আগে মাওয়া এলাকায় ছিল। এক্সপ্রেসওয়ের জায়গায় এভাবে কারখানা দেয়ার কোন অনুমতি আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা মালিক বলতে পারবে।

কারখানার মালিক মো. খলিল বেপারীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আজাহার উকিলের কাছ থেকে মাসিক ১৫ হাজার টাকায় জায়গাটি ভাড়া নিয়েছেন। তবে জানতে পেরেছি সড়কের পশ্চিম দিকে বিদ্যুৎ খুঁটির পর থেকে মালিকানা জমি রয়েছে। সড়কে বৃষ্টির পানি জমার কারণ সমন্ধে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ড্রেনের মুখ বন্ধ আছে তাই পানি যেতে পারছেনা।

এ ব্যাপারে সড়ক ও জনপথের প্রকৌশলী (শ্রীনগর জোন) দেবাশীষ বিহারী দাস জানান, এক্সপ্রেসওয়ে আমাদের আওতায় নেই। তবে আমি এখনই বিষয়টি সংশ্লিষ্টজনদের জানাচ্ছি।

(এই/এএস/আগস্ট ১৬, ২০২৩)