কালিয়া(নড়াইল)প্রতিনিধি :নড়াইলের কালিয়ায় গত ৩০অক্টোবর আধিপত্য বিস্তারের লড়াইয়ে ১জন নিহত ও ২০ জন আহত হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে পরবর্তী হামলা ও গ্রেফতার এড়াতে কালিয়া ও নড়াইল সদর উপজেলা ৬টি গ্রামের নারী ও শিশুসহ পুরুষ শুন্য হয়ে পড়েছে।

ঘটনার পর থেকে নাজমুল মোল্যার সমর্থকদের ১৫ টি বাড়ি ভাংচুর ও লুট করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। এমনকি মহিলাদের লাঞ্ছিত করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়ে গত তিন দিন ধরে লুটপাট ও ভাংচুর অব্যাহত থাকলেও প্রশাসন নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে বলে ক্ষতিগ্রস্থদের অভিযোগ।

পুলিশ ও এলাকাবাসীরা জানান,বাশগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর মোল্যা ও একই এলাকার নড়াইল জেলা বাস ও মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি নাজমুল মোল্যার মধ্যে এলাকার আধিপত্য বিস্তারের লড়াই চলে আসছিল। তারই জের ধরে বাঁশগ্রাম,কলিমন,রামসিদ্ধি,মোল্যাডাঙ্গা,বিসনুপুর,বগুড়া ও ভদ্রবিলা গ্রাম গুলোর বিবাদমান দুটি গ্রুপ ওইদিন সকাল সাড়ে ৬ টার দিকে কলিমন ও মোল্যাডাঙ্গা গ্রামে সংঘর্ষে লিপ্ত হলে প্রতিপক্ষের হামলায় দলনেতা জাহঙ্গীর মোল্যা গ্রুপের রামসিদ্ধি গ্রামের মহাসিন সিকদার (৪৩) নিহত হয়। সংঘর্ষে দুই গ্রুপের অন্তত ২০জন আহত হয়। মহসিন নিহতের খবর ছড়িয়ে পড়লে নাজমুল গ্র“পের লোকজন গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে গেলে শুরু হয় বাড়ি ঘর ভাঙচুর ও লুটপাট।

গত তিন দিনে মোল্যাডাঙ্গা গ্রামের হারুন মোল্যা,ইমাদুল মোল্যা,খবির মুন্সি,কলিমন গ্রামের কুদ্দুস মুন্সি,সাবু মুন্সি,রফিক মুন্সি,বিসনুপুর গ্রামের হিরক মোল্যা,রেজাউল মোল্যা,তারিক মোল্যা,বাশগ্রামের মোছা মোল্যা,সাপলু মোল্যা,মোশারেফ মোল্যা,সেলিম মোল্যা, নূরইসলাম খা,ইলাক মোল্যা ও রামসিদ্ধি গ্রামের রওশন কাজির বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট চালিয়ে ধ্বংশ স্তুপে পরিণত করেছে প্রতিপক্ষের সমর্থকরা।

শুধুতাই নয় মোল্যাডাঙ্গা গ্রামের হারুনের স্ত্রী তাছলিমা বেগম(৪৩),ইমাদুলের স্ত্রী আপরোজা বেগম(৪০) ও ৭০ বছরের বৃদ্ধা হারুনের মা অলেকা বেগম সহ অনেক মহিলাকে লাঞ্ছিত করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে বলে সাবু মোল্যার পুত্র লিটনের অভিযোগ। তিনি অভিযোগ করে আরও বলেন,গত তিন দিন ধরে ভাংচুর ও লুটপাট অব্যাহত থাকলেও প্রশাসন নিবর দর্শকের ভুমিকা পালন করছে। কালিয়া থানার ওসি মোঃ মতিয়ার রহমানের সাথে বার বার মোবাইলে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

(এমএইচএম/এসসি/নবেম্বর১,২০১৪)