বিশেষ প্রতিনিধি, বোয়ালমারী : পিতার মুক্তিযুদ্ধে অবদানের স্বীকৃতি চেয়ে শোকের মাস আগস্টের ১৯ তারিখ শনিবার সকাল সাড়ে ১০ টায় সংবাদ সম্মেলন করেছেন এক গণমাধ্যম কর্মী। 

বোয়ালমারী সরকারি কলেজ রোড়স্থ একটা বেসরকারি সংস্থার সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ফরিদপুরের বোয়ালমারী থেকে প্রকাশিত "সাপ্তাহিক চন্দনা" পত্রিকার সম্পাদক ও বোয়ালমারী প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি কাজী হাসান ফিরোজ।

তিনি বলেন, তাঁর পিতা প্রয়াত কাজী মুজিবুর রহমান ছিলেন, বঙ্গবন্ধুর বাল্য সহচর, এবং ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের একজন সংগঠক ও সম্মুখ সারির যোদ্ধা। তিনি যুবকদের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে সংগঠিত করে প্রাথমিক প্রশিক্ষণ দেয়ার পর ভারতে প্রশিক্ষণের জন্যে পাঠিয়েছেন। এব্যাপারে মুক্তিযুদ্ধকালীন কমান্ডার জনাব আলাউদ্দিন মিয়া বলেন, 'কাজী মুজিবুর রহমান মুক্তিযোদ্ধা না হলে অনেকেই মুক্তিযোদ্ধা না।'

কাজী হাসান ফিরোজ বলেন, আমার পিতা একাত্তরে মুক্তিযোদ্ধারা যখন বোয়ালমারী থানা আক্রমণ করে, তখন পুলিশের নিকট থেকে একটা থ্রি নট থ্রি রাইফেল ছিনিয়ে নিয়েছিলেন। তাঁর সহযোদ্ধা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রোকন উদ্দীন মোল্লা বলেন, 'মুক্তিযুদ্ধের শুরুতেই যখন কাজী মুজিবুর রহমান মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষে জনমত গঠন করেছেন, তখন আমাদের বোয়ালমারী থানার গুনবহা এলাকায় আওয়ামীলীগ এবং মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষে কথাই বলা যেতনা।'

কাজী ফিরোজ বলেন, বিএনপি আমলে তৎকালীন মুক্তিযুদ্ধের থানা কমান্ডের নেতৃবৃন্দ কাজী মুজিবুর রহমানের অবদানের কথা স্বীকার করলেও মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে তালিকাভুক্ত করেননি। ২০১৭ সালের যাচাই-বাছাইয়ে বিএনপির জনৈক নেতা কমিটির সদস্য থাকায় ব্যক্তিগত বিদ্বেষে স্বাক্ষর না করায় তিনি দ্বিধাবিভক্তি তালিকায় 'খ"গ্রপে নাম আসে। পুনঃ বিবেচনার জন্যে আপিল করলে অনেকে চিঠি পেলেও আমার পরিবার চিঠি পায় নাই। কাজী হাসান ফিরোজ এব্যাপারে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মহোদয়ের সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

পরিশেষে কাজী হাসান ফিরোজ বলেন, 'আমার পিতার মুক্তিযুদ্ধের কোন সম্মানী নয়, শুধু মরহুম পিতা কাজী মুজিবুর রহমানের মুক্তিযুদ্ধে অবদানের স্বীকৃতি চাই।'

(কেএফ/এসপি/আগস্ট ১৯, ২০২৩)