দিলীপ চন্দ, ফরিদপুর : ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের জনসভায় গ্রেনেড হামলার প্রতিবাদে ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আজ সোমবার এক বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম হকের সভাপতিত্বে আজ বেলা ১২ টায় শহরের হাসিবুল হাসান লাবলু সড়কে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় থেকে এ বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে জেলার প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন শেষে জনতা ব্যাংকের মোড়ে এসে শেষ হলে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ মোঃ ইশতিয়াক আরিফ এর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন সহ সভাপতি শ্যামল ব্যানার্জী, কোতোয়ালি থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক মোল্লা, জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি গোলাম মোহাম্মদ নাসির, মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহমুদা বেগম, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি জহিরুল হক জনি।

এ সময় ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগ ও তার অন্যান্য অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা বলেন, ২০০৪ সালের ২১ আগষ্ট আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সন্ত্রাস বিরোধী সমাবেশে খালেদা জিয়া - তারেক রহমানের প্রত্যক্ষ মদদে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভানেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে নারকীয় গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। আইভি রহমানসহ আওয়ামী লীগের অনেক নেতৃবৃন্দ নিহত হোন। অনেকে আজীবন পঙ্গুত্ববরণ করেন। ২০০১-২০০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপি- জামায়াত দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি বিনষ্ট করেছে।

সংখ্যালঘুদের কে নানাভাবে নির্যাতন, জুলুম করেছে ফলে অনেকেই ভয়ে পার্শ্ববর্তী দেশে অশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছেন। আজ ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার জন্য ষড়যন্ত্রকারীরা তৎপর রয়েছে। গ্রেনেড হামলার নেপথ্যের কুশীলবদের আইনের আওতায় আনা না গেলে তাদের মূল উৎপাটন করা যাবে না। গ্রেনেড হামলার মূল পরিকল্পনাকারী তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে এনে সাজা কার্যকর করতে হবে।আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে পুনরায় ক্ষমতায় আনতে হবে তা না হলে দেশে পুনরায় জঙ্গিবাদের উত্থান ঘটবে। আগামী দিনে বিএনপি - জামায়াতের সন্ত্রাস নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে অংশগ্রহণ করার আহবান জানান।

(ডিসি/এসপি/আগস্ট ২১, ২০২৩)