মাদারীপুর প্রতিনিধি : দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেন, ‘হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙলি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে সরকারী পরিষেবা যে কোন মূল্যে নিশ্চিত করতে হবে।’ 

আজ বুধবার সকালে মাদারীপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে দুদক আয়োজিত গণশুনানীতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

দুদক সচিব আরো বলেন, ‘দুর্নীতি দমন এবং প্রতিরোধের বিষয়ে গণশুনানি হলো দুর্নীতি দমনের লক্ষ্যে সকল জনগণ তথা নাগরিককে সম্পৃক্ত করা, তাদের সচেতনতা বৃদ্ধি করা এবং নাগরিক সম্পৃক্ত ছাড়া শুধু আইন দিয়ে দুর্নীতি প্রতিরোধ করা সম্ভব নয়, এই বিষয়কে সামনে রেখে আজকের গণশুনানি করা। আজকে আপনাদের একটি মেসেজ দিতে চাই, আমাদের সংবিধানে একটি বিধান রয়েছে, অনুপার্জিত অর্থ যেন যাতে কেউ ভোগ করতে না পারেন রাষ্ট্র সে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। আর সে লক্ষ্যে কমিশন কাজ করে যাচ্ছেন। কাজেই কেউ যদি ঘুষ অনিয়ম ও নিয়মের ব্যত্যয় করতে চান তাহলে তার ফল ভোগ করতে হবে।

দুদক সচিব তাঁর বক্তব্যে আরও বলেন, এছাড়া সরকারী কর্মচারীদের মাঝে সততা, নিষ্ঠা, জবাবদিহিতা ও মূল্যবোধ বৃদ্ধি করার মাধ্যমে দেশ থেকে দুর্নীতি নির্মূল করতে প্রতিরোধমূলক কর্মকান্ডে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।’

এসময় তিনি পদ্মা সেতু জমি অধিগ্রহণ নিয়ে দালাল চক্রের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মাদারীপুর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মারুফুর রশিদ খান এর সভাপতিত্বে এবং সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত গণশুনানীতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সচিব মো. মাহবুব হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন দুর্নীতি দমন কমিশনের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন, ঢাকা বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ মোরশেদ আলম, মাদারীপুর পুলিশ সুপার মো. মাসুদ আলম, দুদক মাদারীপুর কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. আতিকুর রহমান, সহকারী পরিচালক মো. আক্তারুজ্জামান, জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি মো. মোস্তফা হাওলাদারসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের প্রধানগণ। গণশুনানীতে জেলার বিপুল সংখ্যক নাগরিক উপস্থিত ছিলেন।

গণশুনানীতে বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে সেবা পেতে হয়রানি, ঘুষ, দুর্নীতির শিকার সেবা প্রত্যাশী জনসাধারণের মুখোমুখি হয়ে তাদের নানা অভিযোগের সমাধান করে স্বচ্ছ সেবা প্রদানের আশ্বাস প্রদান করেন সরকারি দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত গণশুনানিতে মাদারীপুর সদর হাসপাতাল, পাসপোর্ট অফিস, বি.আর.টি.এ. সাব-রেজিষ্টি অফিস, সহকারী কমিশনার (ভূমি), সমাজসেবা, নির্বাচন অফিস, বিদ্যুৎ বিভাগ, ব্যাংকিং বিভাগ, শিক্ষা অফিস, জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, পৌরসভাসহ মোট ৩৮ টি দপ্তরের ১০৭ টি অভিযোগ পাওয়া যায়। এরমধ্য্যে ৩৬টি সুনির্দিষ্ট অভিযোগ শুনানির জন্য সেবাপ্রার্থী জনসাধারণ সরাসরি উপস্থাপন করেন। উপস্থাপিত ৩৬টি অভিযোগের মধ্যে মাদারীপুর ৩ বিষয়ে দুর্নীতি কমিশন কর্তৃক অনুসন্ধান করার জন্য প্রাথমিকভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং ১০টি অভিযোগের তাৎক্ষনিকভাবে সমাধান করা হয়েছে।


(এএসএ/এসপি/আগস্ট ২৩, ২০২৩)