মোঃ জসিম উদ্দিন জুয়েল, টঙ্গী : মঙ্গলবার রাত প্রায় ২টায় কালো রঙের নোয়া গাড়ির গতিরোধ করে দুই যাত্রী এবং ড্রাইভারকে দেশীয় অস্রের মুখে জিম্মি করে ফেলে দুর্বৃত্তরা। মুহুর্তের মধ্যেই দুর্বৃত্তরা ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি করে। হত্যার ভয় দেখিয়ে যাত্রীসহ ড্রাইভারকে মারধোর এবং গাড়ি ভাংচুর করে ব্যবহৃত ৫টি মোবাইল, নগদ ৯৫হাজার টাকা লুটে নেয় তারা। টঙ্গী পশ্চিম থানাধীন গাজীপুরা এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশে শেটার্ন গার্মেন্টস এর সামনে ৭/৮ জনের একটি সংঘবদ্ধ দল দ্রুততম সময়ের মধ্যে ঘটনাটি ঘটিয়ে পালিয়ে গেলে উক্ত ঘটনায় টঙ্গী পশ্চিম থানায় মামলা হয়।

মামলা রুজু হবার পরপরই মাঠে নামে টঙ্গী পশ্চিম থানা পুলিশ। ইতিমধ্যেই টঙ্গী পশ্চিম থনা এলাকার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ন স্থানে অফিসার ইনচার্জ মোঃ শাহ আলমের নেতৃত্বে সিসি ক্যামেরা স্থাপিত হয়েছে। সহকারী পুলিশ কমিশনার মোঃ মেহেদী হাসান টঙ্গী পশ্চিম থানা পুলিশের চৌকস একটি দল নিয়ে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পর্যালোচনা, প্রাপ্ত বিভিন্ন গোয়েন্দা তথ্য এবং তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে আসামিদের সনাক্ত করে গ্রেফতার অভিযান শুরু করেন। ভিডিও ফুটেজ দেখে প্রথমে ঘটনার সাথে জড়িত একজনকে গ্রেফতার করলে ধৃত আসামির দেয়া তথ্যে দ্রুত অভিযান পরিচালনা করে গাছা থানাধীন কুনিয়া তারগাছের চান্দুরা এলাকা থেকে আরো পাঁচ জনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় পুলিশ। এসময় আসামিদের কাছ থেকে ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত ১টি ডেগার, ১টি কাঁচি, লুন্ঠিত ৫টি মোবাইল এবং নগদ ৪৭হাজার টাকাসহ অস্র বহনের একটি ব্যাগ উদ্ধার করা হয়।

গ্রেফতারকৃত আসামিরা হলো, ১. গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ থানার নাখাই গ্রামের শহিদুল শেখের ছেলে সাগর (২৪), ২. গাজীপুর মেট্রোপলিটন গাছা থানাধীন কুনিয়া মধ্যপাড়ার মৃত শাহজাহানের ছেলে রতন (২০), ৩. চাঁদপুর জেলা ও থানার দাসপাড়ার সজল দাসের ছেলে শান্ত দাস (১৯), ৪. গাজীপুর মেট্রোপলিটন গাছা থানাধীন চান্দুরা মোতালেব মার্কেটের মৃত মিজান মিয়ার ছেলে মোঃ হাসেম (২৩), ৫. গাজীপুর মেট্রোপলিটন গাছা ধানাধীন চান্দুরা এলাকায় জুয়েল মন্ডলের বাড়ির পাশে নুর মোহাম্মদের ছেলে শ্যামল আহমদ (২১) এবং লালমনিরহাট জেলা ও থানার বড়বাড়ি শিবগ্রামের হামিদুর মিয়ার ছেলে শাহীন। এরা সবাই বর্তমানে গাজীপুর মেট্রোপলিটন গাছা থানাধীন এলাকায় বসবাস করে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে টঙ্গী পশ্চিম থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শাহ আলম বলেন, গ্রেফতারকৃত আসামিরা ম‚লত আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য। তারা মহাসড়কে যাত্রীবেশে, পথচারী সেজে, টার্গেট করে সংঘবদ্ধভাবে কাজ করে। অস্রের মুখে ভয় দেখিয়ে ত্রাস সৃষ্টি করে ডাকাতি করে। অপরাপর ডাকাতদের ধরতে আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে।

(জেইউজে/এএস/আগস্ট ২৪, ২০২৩)