খুলনা প্রতিনিধি : সুন্দরবন বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ প্রকল্প বিষয়ক আঞ্চলিক সহযোগিতা এবং বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে আজ রবিবার বাঘ শুমারি শুরু হয়েছে। শেষ হবে আগামী ২০১৫ সালের জুন মাস নাগাদ।

সূত্রে জানা গেছে, সুন্দরবন বাংলাদেশের অংশে ৩০ জন মাঠ কর্মী বাঘ গণনার জন্য ৮৯টি ক্যামেরা ব্যবহার করবে। এবারই প্রথম বাঘের পায়ের চিহ্নের পরিবর্তে ক্যামেরার মাধ্যমে ছবি দেখে বাঘ গণনা করা হবে।

ওয়াইল্ড লাইফ ম্যানেজমেন্ট কনজারভেশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিভাগীয় বন কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম জানান, চলতি বছরের ২ নভেম্বর থেকে ২য় পর্যায়ের বাঘ শুমারি শুরু হয়েছে। শেষ হবে আগামী বছরের জুন মাসে। দু’বছর মেয়াদী প্রকল্পটির জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ২ কোটি ২৫ লাখ টাকার মত।

তিনি জানান, সুন্দরবনের ক্যামেরা ট্রাপ্ড এর মাধ্যমে বাঘ গণনার ১ম ধাপের কাজ চলতি বছরের এপ্রিল মাসে শেষ হয়েছে। এতে বঘের গতিবিধি ও ছবি ধারণের জন্য গোটা সুন্দরবনের বিভিন্নস্থানে ৮৯টি অত্যাধুনিক ক্যামেরা বসানো হয়েছে। প্রতিটি ক্যামেরা এক নাগাড়ে ২০ দিন ধরে ৩ শত বর্গ কিলোমিটার এলাকায় বাঘের ছবি ধারণ করতে সক্ষম। ওই ছবি বিশ্লেষণ করে বাঘের প্রকৃত সংখ্যা নিরুপণ করা হবে।

তিনি আরও জানান, বাংলাদেশের টাইগার একশন প্লান্ট ২০০৯-২০১৭ ন্যশনাল টাইগার ডিসকভারি প্রোগ্রাম ও বন আইন ২০১২ সংশোধনসহ বাঘ সংক্ষণের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। বাঘ গণনা শেষে বনের হরিণসহ অন্যান্য প্রাণী একই পদ্ধতিতে গণনা করা হবে।

সূত্র মতে, বন বিভাগের তথ্য অনুযায়ী ১৯৮২ সালের জরিপে সুন্দবন বাংলাদেশের অংশে বাঘ ছিল ৪৫৩টি। ১৯৮৫ সালের জরিপে দেখা যায় ৪৫০টি। এর পর ২০০৪ সালে ইউএনডিপি’র এক জরিপে দেখা যায় ৪৪০টি। বাঘের পদচিহ্ন দেখে ওই জরিপ করা হয়।

এ ছাড়া খাদ্য ও কৃষি সংস্থার জরিপে দেখানো হয়েছে ৩৬৫টি বাঘের সংখ্যা।

(ওস/এইচআর/নভেম্বর ০২, ২০১৪)