গৌরীপুর প্রতিনিধি : ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার মইলাকান্দা ইউনিয়নের শ্যামগঞ্জে বৃষ্টির পানিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে ৪০টি পরিবার পানিবন্দী অবস্থায় দুর্বিষহ জীবনযাপন করছে। পানি নিষ্কাশনের ড্রেন কম থাকায় এবং যেগুলো আছে সেগুলো ভরাট হয়ে যাওয়ায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে পানি প্রবেশ করেছে পরিবারগুলোর বসতবাড়িতে।

ভূক্তভোগী পরিবারগুলোর অভিযোগ জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলেও কোন সমাধান হয়নি। ফলে গত কয়েক বছর ধরে বর্ষাকাল আসতেই বৃষ্টির পানিতে দুর্ভোগে পড়ে পরিবারগুলো।

জানা গেছে, উপজেলার মইলাকান্দা ইউনিনের শ্যামগঞ্জ বাজারে গোহালাকান্দা ভূমি অফিসের পাশে প্রায় চল্লিশটি পরিবার বসবাস করে। শ্যামগঞ্জ শহীদ সুধীর বড়–য়া সড়কের পাশে ড্রেনগুলো ময়লা-আবর্জনা জমে ভরাট হয়ে যাওয়ায় প্রতিবছর বর্ষাকালে এই পরিবারগুলো পানিবন্দী হয়ে পড়ে।

খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে ওই পরিবারগুলোর বাড়ির উঠান পানিতে ডুবে গেছে। পানি উঠে গেছে তাদের বসতবাড়িতে। পানিতে ভেসে থাকা ময়লা-আবর্জনা প্রবেশ করছে ঘরের ভেতর। ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ। এই অবস্থায় এই পরিবারের মানুষগুলো দুর্ভোগের মধ্যে পড়ছেন।
গত রবিবার পানিবন্দী ভুক্তভোগী পরিবারগুলো জলাবদ্ধতা নিরসন ও পানি নিষ্কাশেনের জন্য ড্রেনেজ ব্যবস্থা করার দাবি জানিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত দাবি জানিয়েছন।

ভুক্তভোগী বিশ্ব কুমার পাল বলেন, শ্যামগঞ্জ বাজারের শহীদ সুধীর বড়ুয়া সড়কের পাশে ড্রেনগুলো ময়লা-আবর্জনায় ভরাট হয়ে যাওয়ায় পানিপ্রবাহ বন্ধ হয়ে গেছে। বৃষ্টি হলেই আমাদের এখানকার ৪০টি পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়ে। শিশুদের কাদা-পানি মাড়িয়ে স্কুলে যেতে হয়। আক্রান্ত হয় পানিবাহিত রোগে।

ভুক্তভোগী গীতা রানী বলেন, গত কয়েক বছর ধরেই বর্ষাকাল এলেই আমরা এই দুর্ভোগে পড়ি। জলাবদ্ধতার কারণে চলাফেরা-রান্না সহ নানা কাজে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বৃষ্টি হলেই ময়লা-আবর্জনা সহ পানি চলে আসে ঘরের ভেতর। কীটপতঙ্গ-সাপের উপদ্রব বাড়ে। দুর্ভোগের বিষয়টি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে জানিয়েছি। কিন্তু কোন সুরাহা হয়নি।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) আফরোজা আফসানা বলেন, শ্যামগঞ্জে পানিবন্দী পরিবারগুলো জলাবদ্ধতা নিরসন ও ড্রেনেজ ব্যবস্থার জন্য লিখিত দাবি জানিয়েছেন। স্থানীয় জনপ্রতিনিধির সাথে কথা বলে খোঁজ নিয়ে জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

(এস/এসপি/আগস্ট ২৯, ২০২৩)