রাজন্য রুহানি, জামালপুর : যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় জামালপুরে সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। জেলার সাত উপজেলার মধ্যে ছয় উপজেলার নদী তীরবর্তী অঞ্চল ও অপেক্ষাকৃত নিচু এলাকায় থাকা বাড়িঘরে ঢুকেছে পানি। এছাড়া বন্যার কবলে পড়ে বন্ধ হয়ে গেছে ২৮টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ৩৫ হাজার মানুষ। ডুবে গেছে ১৩২৮ হেক্টর রোপা আমনের ক্ষেত।

শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) সকালে জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, গত ২৪ ঘন্টায় বাহাদুরাবাদ ঘাট পয়েন্টে ৬ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৩০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে যমুনা নদীর পানি। তবে পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিপৎসীমার ২৬১ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে যমুনার পানি বাড়ার সম্ভাবনা আর নেই। নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলে রবিবার থেকে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে।

জেলা প্রশাসন সূত্র জানিয়েছে, গত কয়েক দিনে যমুনা নদীর পানি বেড়ে ইসলামপুর ও দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার ১৭টি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে। দুই উপজেলায় আট হাজার ২৩০টি পরিবারের প্রায় ৩৫ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। দুটি আশ্রয়ণ কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে ১০৫টি পরিবার।এছাড়া ইসলামপুর ও দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার ২৮টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে। প্লাবিত হয়েছে দেওয়ানগঞ্জ, বকশীগঞ্জ, ইসলামপুর, মেলান্দহ, মাদারগঞ্জ ও সরিষাবাড়ী উপজেলার এক হাজার ৩২৮ হেক্টর রোপা আমনের খেত।

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. আলমগীর হোসেন জানিয়েছেন, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বন্যা কবলিত এলাকায় ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। ইতোমধ্যেই দুর্গত এলাকাগুলোতে বিতরণ করা হয়েছে ১শ মেট্রিকটন চাল। এছাড়া দুই হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে। দেওয়া হয়েছে গোখাদ্য কেনার টাকাও।

(আরআর/এএস/সেপ্টেম্বর ০২, ২০২৩)