স্বাধীন মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ, যশোর : যশোরে সনাতন ধর্মের যুগাবতার ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমী উৎসব দিনব্যাপী উদযাপন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানটি নানা আয়োজন ও  হাজার হাজার ভক্ত সমর্থকের উপস্থিতিতে উৎসব মুখর হয়ে উঠে। পুরো অনুষ্ঠান জুড়ে কঠোর নিরাপত্তা বেষ্টনি ভিন্নমাত্রা যোগ করে। বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) শহরের টাউনহল মাঠে জন্মাষ্টমী উৎসবের উদ্বোধন করেন যশোর রামকৃষ্ণ আশ্রম ও মিশনের অধ্যক্ষ স্বামী জ্ঞানপ্রকাশানন্দজী মহারাজ।

জন্ম উৎসব অনুষ্ঠানে আলোচনা সভায় অতিথির বক্তব্য রাখেন, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবরাউল হাছান মজুমদার, পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ার্দার, পৌরসভার মেয়র বীরমুক্তিযোদ্ধা হায়দার গণি খান পলাশ, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সাইফুজ্জামান পিকুল, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তফা ফরিদ আহমেদ চৌধুরী প্রমুখ।

স্বাগত বক্তব্য রাখেন যশোর জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের যুগ্ম সম্পাদক রতন আচার্য।জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি দীপংকর দাস রতনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাঁচতে শেখার পরিচালক এঞ্জেলা গমেজ, সদর উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রবিন পাল ও পৌর শাখার সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ কুমার নাথ বাবলু প্রমুখ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের যুগ্ম সম্পাদক দেবাশীষ রাহা ও সাংগঠনিক সম্পাদক প্রশান্ত সাহা।

শহরের টাউন হল মাঠে সারা শহর থেকে ভক্ত সমর্থকরা বাদ্য বাজাতে বাজাতে এসে সমাবেত হয়। পরে রওশন আলী মঞ্চে নৃত্যের মধ্য দিয়ে শুরু হয় শুভ তিথির শুভ সুচনা। পরে ঢাকের তালে তালে নেচে উঠে পুরো টাউন হল মাঠ। পরে অতিথিরা মঙ্গলপ্রদীপ প্রজ্বলন করেন। মঞ্চে শ্রীকৃষ্ণের জীবনী নির্ভর আলোচনা সভা শেষে বর্ণাট্য মঙ্গল শোভাযাত্রা বের করা হয়। মঙ্গল শোভাযাত্রাটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে। বিকেলে শহরের নীলগঞ্জ মহাশ্মশানে শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমী উৎসব উপলক্ষে ধর্মীয় অনুষ্ঠান করা হয়।

জন্মতিথির উৎসবে যশোর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবরাউল হাছান মজুমদার বলেন, আমাদের এখানে সামাজিক,ধর্মীয় সম্প্রতি আছে, থাকবে। বর্তমান সরকারের নেতৃত্বে আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে এগিয়ে যাবো। আমরা ৪১ সালে উন্নত বিশ্বে প্রবেশের মধ্য দিয়ে প্রমাণ করব ৪৭ এ ধর্মীয় ভাবে যে দেশ বিভাজন করা হয়েছিলো সেটা ভুল ছিলো। বঙ্গবন্ধুর যে স্বপ্ন ছিলো অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ, আমরা সেটা যে কোনো ভাবেই রক্ষা করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।

(এসএমএ/এএস/সেপ্টেম্বর ৬, ২০২৩)