সালথা প্রতিনিধি : ফরিদপুরের সালথায় বেড়েই চলছে ডেঙ্গু জ্বরের প্রবণতা। প্রতিনিয়ত উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভীড় করছে জ্বরের রোগী। ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে এই উপজেলায় এপর্যন্ত দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চালু হয়নি ইনডোরের ব্যবস্থা। এরপরও প্রতিনিয়ত ডে-কেয়ার বেসিসে ফ্লুইড সেবা পাচ্ছে রোগীরা। 

গত কয়েক বছর ধরে ডেঙ্গু দেখা দিলেও কোন মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি সালথায় । তবে এবার গত এক মাসের ভেতরেই দুই জনের মৃত্যু হয়েছে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু মেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী এপর্যন্ত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়েছে ২১৯ জন। এছাড়াও উপজেলার স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ইনডোর চালু না হওয়ায় অনেক রোগি জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

চিকিৎসকরা বলছেন, ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হলে রক্তের জলীয় অংশ কমে যায়। এতে রক্তের ঘনত্ব বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি রক্তচাপ কমে যায়। রক্তের তারল্য ঠিক রাখতে ও রক্তচাপ স্থিতিশীল রাখতে রোগীকে স্যালাইন দিতে হয়। একজন রোগীকে দিনে এক থেকে দুই লিটার, কোনো কোনো ক্ষেত্রে এর বেশি স্যালাইন দেওয়া প্রয়োজন হয়। ডেঙ্গু রোগীর চিকিৎসায় সাধারণত দশমিক ৯ শতাংশ সোডিয়াম ক্লোরাইড স্যালাইন রোগীর শরীরে পুশ করতে হয়। এটাকে ‘নরমাল স্যালাইন’ বলা হয়।

উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ কাজী আবদুল মমিন বলেন, গত জুলাই মাস থেকে এপর্যন্ত ২১৯ জন ডেঙ্গু রোগি শনাক্ত করা হয়েছে। তবে এই মাসে সবচেয়ে বেশি রোগি এখানে আসছে। এখানে ইনডোর চালু হওয়া সম্ভব হয়নি, তারপরও প্রতিদিন আমরা ৪০/৫০ রোগিকে ডে-কেয়ার বেসিসে ফ্লুইড ম্যানেজমেন্ট দিয়ে বাড়িতে পাঠাচ্ছি। আবার যখন ফ্লুইড দেওয়া দরকার তাদেরকে ডেকে আনা হচ্ছে। স্যালাইনের বিষয়ে তিনি বলেন, স্যালাইনের এখনও কোন সমস্যা হয়নি।

(এএন/এসপি/সেপ্টেম্বর ২০, ২০২৩)