অরিত্র কুণ্ডু, ঝিনাইদহ : ঝিনাইদহের শৈলকূপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ল্যাব টেকনলজিষ্ট আরিফুজ্জামানের বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে দিনভোর অভিযান চালিয়েছে ঝিনাইদহ দুর্নীতি দমন কমিশনের একটি টিম। বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে সন্ধা পর্যন্ত এ অভিযান পরিচালনা করেন দুদকের ঝিনাইদহ সম্বনিত অফিসের সহকারী পরিচালক আসাদুজ্জামান। এ সময় ল্যাব ও এক্স-রে ইউনিটে রোগীদের বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষায় একেরপর এক দুর্নীতির প্রমান মেলে হাতেনাতে।

বিষয়টি নিয়ে দুদকের ঝিনাইদহ অফিসের সহকারী পরিচালক আসাদুজ্জামান জানান, তারা সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে শৈলকূপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ল্যাব ও এক্স-রে ইউনিটে অভিযান পরিচালনা করে। রোগীদের বিভিন্ন পরীক্ষার কাগজপত্র যাচাই বাছাইয়ের পর হাতেনাতে দূর্নীতির প্রমান পেয়েছেন তারা। তথ্য প্রমানসহ দূদকের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে তারা প্রতিবেদন দাখিল করবেন।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সাল থেকে ল্যাব টেকনলজিষ্ট আরিফুজ্জামান কর্মরত রয়েছেন শৈলকূপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। দূদকের এ অভিযানের সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ রাশেদ আল মামুন। তিনি জানান, দূদকের এ অভিযানে অসঙ্গতির প্রমাণ মিলেছে ল্যাবে রোগীদের পরীক্ষার বিভিন্ন রশীদে। দুদকের অভিযানের বিভিন্ন অনিয়ম নিয়ে ল্যাব টেকনলজিষ্ট আরিফুজ্জামান জানান, ল্যাবে রোগীদের বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য যে রিএজেন্ট সরকারীভাবে আসে তাতে অর্ধেক মাস চলে। রশীদে যে অসঙ্গতি দেখা যােেচ্ছ সেই টাকা দিয়ে তিনি বাকী মাসের রিএজেন্ট কেনেন বলে জানান।

সূত্র জানায়, ল্যাব টেকনলজিষ্ট আরিফুজ্জামান রোগীদের কাছ থেকে ৩০০ টাকা করে গ্রহন করে মাত্র ৫০ টাকা হাসপাতালের কোষাগারে জমা দেন। বাকী টাকা তিনি পকেটস্থ করেন। তবে এই টাকার ভাগ তার উর্ধ্বতন কর্মকর্তা পান কিনা তা তদন্ত করে দেখা দরকার বলে একাধিক সূত্র মনে করে।

(একে/এএস/সেপ্টেম্বর ২২, ২০২৩)