নাটোর প্রতিনিধি : ওমানের পতিতালয় থেকে পালিয়ে এসেছে নাটোরের সেলিনা পারভীন। ওমানে গৃহপরিচারিকার চাকুরি দিয়ে পাঠানোর নামে স্থানীয় দুই দালাল সেলিনাকে ওমানের পতিতা পল্লীতে পাচার করে দেয়।

বুধবার দুপুরে নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার মশিন্দা দক্ষিন মাজপাড়া গ্রামের মৃত সাইফুল সরদারের স্ত্রী সেলিনা পারভীন নাটোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মানব পাচার প্রতিরোধ দমন আইনের ২০১২ সালের ৭/১০(১) ধারায় মামলাটি দায়ের করেন (মামলা নং ২০১/১৪)।

সেলিনার দূর সম্পর্কের আত্মীয় প্রতিবেশী শফি প্রামানিকের দুই ছেলে হালিম ও জয়নালকে মামলায় আসামী করা হয়েছে।

ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ শরীফ উদ্দীন সেলিনার মুখে অভিযোগের বর্ননা শুনে মামলাটি এজাহার হিসাবে রেকর্ড করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য নাটোর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দেন।

অভিযোগ করা হয়েছে, ১০ বছর বয়সের এক ছেলেকে রেখে সেলিনার স্বামী সড়ক দুর্ঘনায় মারা যান। এ অবস্থায় আসামীরা তাকে ৩ লাখ টাকা বিনিময়ে ওমানের মাসকাট শহরের ফয়সাল মোহাম্মদ সালেহ আল সাহী নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে গৃহপরিচারিকার চাকুরীর জন্য মাসিক ৩০ হাজার টাকা মাসিক বেতনের কথা বলে সেখানে পাঠায়। আসামী জয়নাল চলতি বছরের ১৭ মার্চ সেলিনাকে সাথে করে ওমানের মাসকার্টে ফয়সালের বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে সেলিনাকে আটক রেখে ফয়সাল ও জয়নাল জোর করে ধর্ষন করে।

এরপর ৫ দিন আটক রেখে পালাক্রমে ধর্ষন করা হয় তাকে। পরে মাসকাটেই এক পতিতা পল্লীতে সেলিনাকে বিক্রি করে দেয়া হয়। সেখানে তাকে দেহ ব্যবসায়ে বাধ্য করা হয়। চলতি মাসের ৯ এপ্রিল ওমানের পতিতালয় থেকে পালিয়ে কতিপয় ব্যক্তির সহায়তায় সেলিনা বিমানে চড়ে কৌশলে দেশে পালিয়ে আসে।


(এমআর/এটি/এপ্রিল ৩০, ২০১৪)