কাজী হাসান ফিরোজ, বোয়ালমারী : গোয়ালার দই গোয়ালা নিজেই টক বললেন। ঘটনাটা ঘটেছে বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত একজন চিকিৎসক মন্তব্য করেছেন,  হাসপাতালে যে টেস্ট করা হয় সেগুলোর রিপোর্ট সঠিক হয় না। তাই এই টেস্টগুলো হাসপাতালের গেটের সামনে জননী ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে করে নিয়ে আসেন। তাহলে রিপোর্ট ভালো আসবে। বর্হি:বিভাগে অসুস্থ সন্তান নিয়ে আসা এক মাকে এভাবেই বললেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একজন সহকারী সার্জন। ওই ডাক্তারের নাম ডা. আব্দুল্লাহ আল মাসুম। তিনি ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সহকারী সার্জন। 

খাদিজা সুলতানা নামে ভুক্তভোগী রোগীর মা অভিযোগ করে বলেন, ‘আজ রবিবার সকাল ১০টার দিকে আমার চার বছরের অসুস্থ সন্তান আয়মানকে নিয়ে বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ৩০৯নং কক্ষে ডা. আব্দুল্লাহ আল মাসুমকে দেখাই। তিনি আমার ছেলেকে দেখে চিকিৎসাপত্রে ৪টি টেস্ট (সিবিসি, টাইফয়েড, ইউরিন ও ডেঙ্গু) করাতে দেন এবং বলেন, এই টেস্টগুলো হাসপাতালের সামনে জননী ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে করে নিয়ে আসেন।

হাসপাতালে টেস্ট করাতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের হাসপাতালের টেস্টের রিপোর্ট ভালো হয় না। এজন্য জননী ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে টেস্টগুলো করে নিয়ে আসেন। আমি সন্তানের অসুস্থতার কথা চিন্তা করে বাধ্য হয়ে ওই ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে টেস্টগুলো করে নিয়ে আসি। পরে রির্পোট দেখে চিকিৎসাপত্রে ঔষধ লিখে দেন।

এ বিষয়ে বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সহকারী সার্জন ডা. আব্দুল্লাহ আল মাসুম বলেন, আমি এ ধরনের কোনো কথা ওই রোগীর অভিভাবককে বলি নাই। অফিস কক্ষের বাইরে অনেক সময় দালালরা দাঁড়িয়ে থাকে তারা বলতে পারে।

এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তা ডা. নাহিদ আল রাকিব বলেন, বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ল্যাব. এখোন যথেষ্ট উন্নত। উল্লেখিত টেস্টগুলোর রেজাল্ট অন্যান্য জায়গার তুলনায় বোয়ালমারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভালো পাওয়া যায়। আমি নিজের পরীক্ষা-নীরিক্ষা এখানে করাই।

বোয়ালমারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের রিপোর্টের উপর আমি যথেষ্ট আস্থাশীল। তিনি আরো বলেন, ভুক্তভোগীর পক্ষ থেকে অভিযোগ পেলে আমি প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিতাম।

(কেএফ/এসপি/সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২৩)