আবু নাসের হুসাইন, সালথা : ফরিদপুরের সালথায় বাতাসে দোল খাচ্ছে কৃষকের সোনালী স্বপ্ন ধানের শীষ। পোকার আক্রমণ আর নানা রোগবালাইয়ের পরও এবার আমন ধানের বাম্পার ফলনের আশা করছেন কৃষকরা।

মাঠে মাঠে আনন্দে মাতুয়ারা সোনালী ধানের শীষ। প্রতিটি শীষে যেন কৃষকের জীবনের স্বপ্ন ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে ফরিদপুরের সালথা উপজেলার কৃষকেরা। কৃষাণ-কৃষাণীদের মনে বইছে আনন্দের বন্যা। কদিন পরেই ঘরে আসতে শুরু করবে তাদের সোনালী স্বপ্ন ধান।

দিগন্তজুড়া সোনালী ফসলের মনোরম দৃশ্য এখন গোটা উপজেলা জুড়ে। কোনো এলাকায় দু’একজন চাষী ধান কাটলেও আগামী দুই সপ্তাহ পরে পুরোদমে শুরু হবে ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজ। ফসল কাটার মহোৎসবে ব্যস্ততম সময় কাটাবেন এখানকার কৃষকরা। প্রচন্ড তাপদাহে খুব সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলবে সোনালী স্বপ্ন ঘরে তোলা সংগ্রাম।

উপজেলার ধান চাষী কাইয়ুম মোল্যা ও দবির মোল্যা জানান, অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার ধান চাষ বেশি করেছেন তারা। অনেকেই ধান পরিচর্যা করছেন। এবছর বৃষ্টি হওয়ায় ধানে সেচ কম লেগেছে। তাতে খরচ কম হয়েছে। আশা করা হচ্ছে আগের বছরের তুলনায় এবছর ধান চাষ বেশি হয়েছে। ধানের বাম্পার ফলনের আশা করছেন তারা।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুদর্শন শিকদার বলেন, এবছর সালথা উপজেলায় আমন ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ১১ হাজার ৫৭৭ হেক্টর। অর্জিত হয়েছে ১২ হাজার ২৯২ হেক্টর। এ বছরে আবহাওয়া ধানের অনুকূলে আছে। ধানের উৎপাদনও খুব ভালো হবে।

(এএন/এসপি/অক্টোবর ০২, ২০২৩)