আসাদ সবুজ, বরগুনা : বরগুনার তালতলীতে সংবাদ প্রকাশের জেরে তিন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতে মামলা করেছেন এক যুবতী। অপরদিকে মামলাটি মিথ্যা বলে দাবী করছেন ওই সাংবাদিক।

গত ৪ অক্টোবর (বুধবার) বরিশাল সাইবার ট্রাইবুনাল আদালতে মোট ৪জনকে আসামী করে সাইবার নিরাপত্তা আইনের ২০২৩ এর ২৩(১), ২৫(ক), ২৬(১), ২৯, ৩৩(১) ধারায় মামলাটি দায়ের করেন বরগুনা সদর উপজেলার ৭নং ঢলুয়া ইউনিয়নের বান্দরগাছিয়া গ্রামের মৃত হারুনের মেয়ে মোসম্মৎ শিরিন। তবে মামলা দায়েরের বিষয়টি ৬ অক্টোবর (শুক্রবার) জানাজানি হয়।

মামলার আসামীরা হলেন এশিয়ান টিভির ঢাকা প্রতিনিধি মাজহারুল আমিন শুভ, দৈনিক কালবেলা পত্রিকার কণ্ঠ সাংবাদিক সুরুজ আহম্মেদ, পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা উপজেলার পাতাবুনিয়া গ্রামের রফিক শিকদারের ছেলে রাসেল শিকদার ওরফে নিরব ও দৈনিক কালবেলা পত্রিকার বরগুনার তালতলী উপজেলা প্রতিনিধি নাঈম ইসলাম। তবে মামলার অভিযোগে পিতার নাম না থাকায় এশিয়ান টিভির ঢাকা প্রতিনিধি মাজহারুল আমিন শুভ, দৈনিক কালবেলা পত্রিকার কণ্ঠ সাংবাদিক সুরুজ আহম্মেদকে বাদ দিয়ে বাকি দুই আসামীর বিরুদ্ধে বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)কে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

মামলার অভিযোগে বাদী মোসম্মৎ শিরিন উল্লেখ করেন, তার ও ওই ডাক্তারের সাথে শুধুমাত্র বন্ধুত্বের সম্পর্ক ছিলো। বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে গিয়ে তারা ছবি তোলে। সেই ছবি ব্যবহার করে কালবেলা মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করেছে। এতে মামলার ১নং ডাক্তার সুমন বিশ্বাসের মানহানী হয়েছে।

উল্লেখ্য গত ২৫ সেপ্টেম্বর কালবেলা অনলাইন পেইজে "চিকিৎসকের প্রেমের ফাদ, শারিরিক সম্পর্কের পর সব হাড়ালেন রিসিপশনিষ্ট" এই শিরোনামে ওই চিকিৎসক ও মামলার বাদী'র একান্ত মূহুর্তের ধারণ করা ছবি ও ভিডিও দিয়ে একটি ভিডিও চিত্র প্রকাশ করে। মূহুর্তেই ভিডিওটি ভাইরাল হয় যায়।

তালতলী উপজেলা প্রতিনিধি নাঈম ইসলাম বলেন, মোসাম্মৎ শিরিন ওই নারী ডাক্তারের বিরুদ্ধে একটি র্যাব ৮ বরাবর অভিযোগ করেন। সেই অভিযোগপত্রে যা উল্লেখ করা আছে ও বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করে সংবাদ প্রকাশের কয়েকদিন পরেই ওই নারী সুমন বিশ্বাসের পরিবারের লোকজনদের সাক্ষী দিয়ে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছেন।

(এএস/এএস/অক্টোবর ০৬, ২০২৩)