সোহেল সাশ্রু, কিশোরগঞ্জ : ভৈরবে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় সালিশ দরবারে নানী-নাতীসহ ১০ জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। আজ সোমবার সকাল ১০টায় পৌর শহরের কালিপুর মধ্যপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। 

এ ঘটনায় নানী হামিদা বেগম (৬৫) ও নাতী সজিব মিয়া (২৩) ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন। এছাড়াও সংঘর্ষে জালাল মিয়া, কাজল মিয়া, ওসকরোনি, সেলিম মিয়া, সাইদুর মিয়া ও সাকিব মিয়া আহত হয়েছেন।

জানা যায়, ৫ অক্টোবর বৃহস্পতিবার বুদা সরকার ও জলদির বাড়ির সাথে কালিপুর হাইস্কুল রোড এলাকার যুবকদের ফুটবল খেলা হয়। খেলায় বুদা সরকার ও জলদির বাড়ি হেরে যায়। এসময় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে। এতে বুদা সরকার ও জলদির বাড়ির তোফাজ্জল মিয়া ও শিপন মিয়াসহ উভয় পক্ষের ১০ জন আহত হয়। এ ঘটনায় স্থানীয় নেতৃবৃন্দ আজ সোমবার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি আলহাজ্ব জয়নাল আবেদীন এর সভাপতিত্বে শালিশ দরবারে বসেন। শালিশ শেষে যুবকদের মিলিয়ে দেয়ার সময় বুদা সরকার ও জলদির বাড়ির লোকজন কালিপুর হাইস্কুল রোড এলাকার সজিব মিয়াসহ তার সহপাটিদের উপর হামলা চালায়। এ সময় নাতী সজিব মিয়াকে বাচাঁতে গেলে নানী হামিদা বেগমসহ ১০ জন আহত হয়। বর্তমানে এলাকায় থমতমে অবস্থা বিরাজ করছে। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

এলাকাবাসীরা জানান, এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে শালিশ হয়েছে। দরবার শেষে সংঘর্ষে জড়িত একজন আরেক জনের সাথে মিলিয়ে দেয়ার প্রক্রিয়া চলাকালীন হামলার ঘটনা ঘটে। দোষীদের সঠিক বিচার চাই।

এ বিষয়ে ১২নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ইব্রাহীম মিয়া বলেন, আমরা শালিশে ছিলাম। বাহিরে এ ঘটনা ঘটেছে। আমি এর তীব্র নিন্দা জানাই।

কালিপুর হাইস্কুল রোড এলাকার কাইয়ুম মিয়া বলেন, এটা একটা ন্যাক্কার জনক ঘটনা। বাদী-বিবাদীদের একসাথে মিলে চলতেই শালিশ দরবার হয়েছে। আমরা জয়নাল হাজীর বাড়িতে ছিলাম। আমাদের ডেকে নিয়ে অপমান করেছে, আমরা লজ্জিত।

এ ব্যাপারে শালিশ দরবারে সভাপতি আলহাজ্ব জয়নাল আবেদীন সত্যতা স্বীকার করেন। থানা পুলিশকে খবর দেয়া হয়েছে। আবারো শালিশের প্রস্তুতি চলছে।

ভৈরব থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মাকছুদুল আলম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিত শান্ত রয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

(এসএস/এসপি/অক্টোবর ০৯, ২০২৩)