নীহার রঞ্জন কুন্ডু, ময়মনসিংহ : ময়মনসিংহের হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে সংবাদিক সম্মেলন করেছে এ.কে.এম কামাল  হোসেন খান নামে এক আইনজীবী।

আজ সোমবার দুপুরে নগরীর জেলা পরিষদ আইনজীবী ভবনের নিজ চেম্বারে এ সংবাদিক সম্মেলন করেন তিনি। এ সময় লিখিত বক্তব্যে এড এ.কে.এম কামাল হোসেন খান জানান, সদর উপজেলার দাপুনিয়া বাজারে আমার মামা অধ্যাপক মজিবুর রহমান ২০০৯ সাল থেকে ৫ টি দোকান ঘর নির্মাণ করে ভাড়া দিয়ে ভোগ দখল করে আসছে। ভোগ দখলে থাকা অবস্থায় আসামি জহিরুল ইসলাম হঠাৎ করে পাঁচটি দোকানের ভাড়াটিয়াদের ৬ দিনের মধ্যে দোকান ছেড়ে দেয়ার হুমকি দেয় এবং চলতি মাসের ৯ অক্টোবর ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় মজিবুর রহমানকে জোরপূর্বক টেনে হিঁচড়ে দোকানের বাহিরে নিয়ে যায়। এ সময় আমার ছেলে জিহাদ তার মোবাইলে মারধরের ঘটনা ভিডিও করতে গেলে আসামিরা তাকেও মারধর করে মোবাইল ছিনিয়ে নেয়। এ খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে যাই এবং কোতোয়ালী থানা পুলিশকে জানালে এস.আই তাজুল ইসলামসহ আরো তিনজন কনস্টেবল ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। ঘটনাস্থলে পুলিশ উপস্থিত থাকা সত্ত্বেও জহিরুল ও তার সাথে থাকা ১০/১২ জন সন্ত্রাসী লোহার রড দিয়ে আমার ছেলেকে এলোপাতাড়িভাবে মারধর করতে থাকে। পুলিশ তাদেরকে ফেরাতে ব্যর্থ হয়। এক পর্যায়ে যারা আমাদের দোকান ভাঙচুর করে আমার ছেলেকে মারধর করেছে তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো আমার বড় ছেলে মোনায়েমকে ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় পুলিশের গাড়িতে উঠিয়ে নিয়ে বিনা অপরাধে দু'দিন থানায় আটকে রেখে মিথ্যা মামলা দিয়ে কোর্টে চালান করে দেয়। এ ঘটনায় আমি থানায় মামলা করতে গেলে কোতোয়ালী থানা পুলিশ আমার মামলা নেয়নি। বরং উল্টো জহিরুল ইসলাম আমার মামা মজিবুর রহমান, আমার দুই ছেলে মোনায়েম খান, জিহাদ এবং আমাকেসহ আরো অজ্ঞাতনামা ১০/১২ জনের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করে। আমি কোতোয়ালী থানা পুলিশের কোন সহযোগিতা না পেয়ে শেষে আদালতের শরণাপন্ন হয়ে দ্রুত বিচার আইনে মামলা দায়ের করি। আমি এ ঘটনায় জড়িত জহিরুল ইসলাম গংদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।

(এনআরকে/এসপি/অক্টোবর ১৬, ২০২৩)