তপু ঘোষাল, সাভার : ঢাকা জেলার সাভারের আশুলিয়ায় প্রেমিকাকে হত্যার পর ঘটনাটি আড়াল করতে ফ্যানের সঙ্গে ওড়না ঝুলিয়ে আত্মহত্যার নাটক সাজিয়ে রেখেছিল প্রেমিক। মরদেহ উদ্ধারের দুইদন পর অভিযুক্ত প্রেমিককে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর বেরিয়ে আসে ঘটনার আসলা রহস্য।

শুক্রবার (২০ অক্টোবর) দুপুরে আশুলিয়া থানা থেকে গ্রেপ্তার রাশেদুল ইসলামকে ঢাকার আদালতে পাঠানো হয়।

এর আগে তাকে আশুলিয়ার শিমুলিয়া থেকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব ৪-এর সাভার নবীনগর ক্যাম্পের একটি দল। পরে তাকে আশুলিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়।
পুলিশ জানায়, গত মঙ্গলবার রাতে আশুলিয়ার শিমুলিয়ার ওয়ারেস আলীর মালিকানাধীন ভাড়া বাসা থেকে রুনা আক্তার (২৬) নামে পোশাক শ্রমিক তরুণীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এসময় ফ্যানের সঙ্গে ওড়না ঝুলছিল।

ঠিক নিচে মেঝে পড়েছিল রুনা আক্তারের মরদেহ।

প্রাথমিকভাবে দেখলে মনে হবে আত্মহত্যার ঘটনা। যেন ওড়না ছিড়ে লাশ নিচে পড়ে গেছে। উদ্ধারের দুইদিন আগেই হত্যার শিকার হন রুনা।

গত রবিবার ১৫ অক্টোবর শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয় তাকে। প্রাথমিক সুরহাতালে বিষয়টি নিয়ে সন্দেহ হয়। সেই সূত্র ধরে অভিযান চালিয়ে রাশেদুলকে গ্রেপ্তার করা হয়। হত্যার শিকার রুনা আক্তারের কয়েক রুম পরেই রাশেদ আরেক কক্ষে বসবাস করত। তাদের মধ্যে প্রায় দুইমাস ধরে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল।
রুনা আক্তার চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ থানার সাছিয়াখালী গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের মেয়ে। গ্রামে রুনার আগে বিয়ে হলেও সেই সংসার ভেঙ্গে যায়। সেই ঘরে রুনার ৬ বছরের শিশু সন্তান গ্রামে রেখে গত ৩ মাস আগে আশুলিয়ায় বসবাস শুরু করে ও পোশাক শ্রমিকের চাকরি নেয়।

গ্রেপ্তার রাশেদ হোসেন (২৩) রাজবাড়ীর পাংশা থানার বরুরিয়া গ্রামের বাসিন্দা। পেশায় পরিবহন শ্রমিক।

এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও আশুলিয়া থানার এস আই নোমান সিদ্দিক বলেন, হত্যাকারী খুব চতুর। হত্যার পর সে ওই বাসাতেই বসবাস করছিল। মরদেহের দুর্গদ্ধ থেকে প্রতিবেশীরা পুলিশের খবর দেয়। প্রাথমিকভাবে ধারণা, বিয়ের জন্য চাপ দেওয়ায় এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।

(টিজি/এএস/অক্টোবর ২০, ২০২৩)