স্টাফ রিপোর্টার, গাজীপুর : গাজীপুর মহানগরের বাঙ্গালগাছ এলাকায় দুই ভাইকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় অজ্ঞাতনামা আসামীদের নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনায় সম্পৃক্তদের গ্রেফতারে অভিযান চালাচ্ছে।
শনিবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে নিহত দুই যুবকের বাবা মো: আবুল কাশেম বাদী হয়ে গাজীপুর মহানগরের সদর থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
থানায় দায়ের করা লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মামলার বাদী মো: আবুল কাশেম তার পরিবার নিয়ে মহানগরের ভুরুলিয়া এলাকার আব্দুর রশিদের বাড়িতে ভাড়া থাকেন। তার চার ছেলে আল-আমিন (৩৫), আমিরুল (৩২), শফিকুল ইসলাম (২৫) ও শুকুর আলী (২২) তার সাথেই বসবাস করে ব্যাটারী চালিত অটোরিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন। গত শুক্রবার (২০ অক্টোবর) তিন ছেলে আমিরুল, শফিকুল ও শুকুর আলী ভুরুলিয়া এলাকার একটি মাছের প্রজেক্টে সারাদিন মাছ ধরে বিকেলে বাসায় এসে মাছ রেখে শফিকুল ও শুকুর আলী সন্ধ্যায় বাড়ির বাইরে যায়। এসময় শফিকুলের স্ত্রী সুমা আক্তারকে জানায়, পাওয়া টাকা আনতে বাঙ্গালগাছ বাঁশ বাজার এলাকায় যাচ্ছে। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ফাইজুল ইসলাম রুবেল নামের এক ব্যক্তি বাঙ্গালগাছ গ্রামের বাঁশবাজারের তিন রাস্তার মোড়ের শফিকুল ও শুকুর আলীকে মারধর করছে বলে জানায়। তারা তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থরে পৌঁছলে শফিকুল ও শুকুর আলীকে রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে থাকতে দেখে পায়। স্থানীয়রা জানান, পৌনে ৭ থেকে সোয়া সাতটার মধ্যে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা তাদের দুজনকে মারধর করে ফেলে রেখে গেছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজ উদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
গাজীপুর মেট্টোপলিটন পুলিশের সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউল ইসলাম জানান, শনিবার দুপুরে নিহত শফিকুল ইসলাম ও শুকুর আলী বাবা মো: আবুল কাশেমের দায়ের করা অভিযোগের প্রেক্ষিত্রে থানায় মামলা রুজু হয়েছে। মামলায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামী করা হয়েছে। পরিদর্শক পর্যায়ের এক কর্মকর্তাকে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
গাজীপুর মেট্টোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার আবু তোরাব মো. শামছুর রহমান জানান, ঘটনার পরপরই এক অটোরিকশা চালককে জিজ্ঞাসাবাদ করে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। এ হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের গ্রেফতারে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।
গাজীপুর।
২১-১০-২০২৩ইং