সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : পরিকল্পিত সড়ক দুর্ঘটনা নিহত আশাশুনির গৃহবধু রাবেয়া খাতুনের লাশ ময়না তদন্ত ছাড়াই সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল থেকে নিয়ে এসে বুধবার দুপুরে দাফন করা হয়েছে। এ নিয়ে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার কল্যাণপুর গ্রামের আব্দুল মজিদ জানান, তার চাচী রাবেয়া খাতুনকে প্রতাপনগর গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে বস্ত্র ব্যবসায়ি রবিউল ইসলামের সঙ্গে একটি ভাড়া মোটরসাইকেলে মঙ্গলবার দুপুরে ভোমরায় পাঠায় চাচা আফছার গাজী। চাচার পরিকল্পনা মাফিক আশাশুনি-সাতক্ষীরা সড়কের নবাতকাটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কাছাকাছি একটি স্থানে চলন্ত মোটর সাইকেল থেকে ট্রাকের সামনে চাচীকে ফেলে দিয়ে হত্যা করে রবিউল। ভাড়ায় চালিত মোটর সাইকেলের পিছনের চাকা ফেটে যেয়ে গাছের সঙ্গে লেগে এ দুর্ঘটনা হয়েছে বলে প্রচার দেওয়া হয়। রাতে সদর থানার উপপরিদর্শক হুমায়ুন কবীরকে আর্থিক সুবিধার মাধ্যমে ম্যানেজ করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল থেকে লাশ ময়না তদন্ত ছাড়া নিয়ে যাওয়ার সময় বিষয়টি থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইনামুল হককে অবহিত করা হয়। থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লাশ বুধবার ময়না তদন্ত শেষে তার স্বজনদের হাতে তুলে দেওয়া হবে জানান। এরপরও অজ্ঞাত কারণে ময়না তদন্ত ছাড়াই ওই লাশ রাতেই কল্যাণপুরে পৌঁছে যায়।

তিনি আরো জানান, নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে রাবেয়াকে হত্যা করা হয়েছে এমন কথা বলার পর ঘাতক রবিউল ও মোটর সাইকেল চালক আত্মগোপন করে মোবাইল বন্ধ করে দেয়। হত্যার বিষয়টি যাতে ধামা চাপা পড়ে সেজন্য আফছার আলী তা দু’ মেয়ের নামে ছয় মাসের মধ্যে ১০ লাখ টাকা ও এক বিঘা জমি লিখে দেওয়ার ঘোষণা দেয়। এমনকি নিহতের বাবা আতাউর দর্জি ও ভাই আবুকে ভয় দেখানো হয়। একপর্যায়ে বুধবার দুপুরে লাশের দাফন সম্পন্ন হয়।

নিহতের ভাই আবু হাসান জানান, আফছার আলী দ্বিতীয় বিয়ে করার পর তার বোন রাবেয়াকে নির্যাতন করতো। রাবেয়াকে পরিকল্পনা মাফিক রবিউলকে দিয়ে মোটর সাইকেল থেকে ফেলে দিয়ে হত্যা করেছে আফছার আলী। গাছের সঙ্গে দুর্ঘটনা হলে চালক ও রবিউল কেন আহত হলো না তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি।

এ ব্যাপারে সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইনামুল হক জানান, তিনি ব্যস্ত রয়েছেন। পরে কথা বলবেন।

(আরকে/অ/এপ্রিল ৩০, ২০১৪)