চাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধি : পাবনার চাটমোহরে বুধবার সকালে খাসজমির দখল নিয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে। গুরুতর আহত ১৪ জনকে চাটমোহর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনতে ৫ রাউন্ড শর্টগানের গুলি ছোঁড়ে পুলিশ।

আহতরা হলেন, আনোয়ার হোসেন (৪২), আব্দুল গফুর (৬০), তাজেমুদ্দিন (৫০), জয়গুন নেছা (৫৫), সগে খাতুন (৪০), বাইতুল হোসেন (৩৬), সাইফুল ইসলাম (৩৩), সাইদুল ইসলাম (৩০), ফাতেমা বেওয়া (৬৫), নাজমুল (২২), আবুল কালাম আজাদ (৪২), সালমা কাতুন (৩৫), আফছার মন্ডল (৬০) ও আলতাফ হোসেন (৩৫)। এদের মাঝে সাইফুলের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।

স্থানীয় ও পুলিশ সুত্র জানায়, বুধবার সকাল আটটার দিকে উপজেলার হান্ডিয়াল ইউনিয়নের পাইকপাড়া-ডেফলচড়া গ্রামের মাঝখানে কাটা নদীর ৫০ শতাংশ খাসজমি দখল করে ভুট্টা চাষ করাকে কেন্দ্র করে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ আলম মেম্বর গং ও ওই জমির আগের ভোগদখলকারী আ’লীগ সমর্থক আফছার মণ্ডল গং অবস্থান নেয়। খবর পেয়ে হান্ডিয়াল তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ এসআই গাজী নূরুল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্সসহ সেখানে উপস্থিত হয়ে দুইপক্ষকে তদন্ত কেন্দ্রে নেয়ার পথে পাকপাড়া বুড়োপীরের মাজার মাদ্রাসা মাঠের কাছে উভয়পক্ষের মধ্যে বাক-বিতণ্ডা শুরু হয়। কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে তাদের মাঝে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ বেঁধে যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ৫ রাউন্ড শর্টগানের ফাঁকা গুলি ছোঁড়ে। এ সময় সংঘর্ষকারীরা পুলিশের একটি মোটর সাইকেল ভাংচুর করে।

চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুব্রত কুমার সরকার জানান, আমরা উভয়পক্ষকে জমি থেকে তুলে এনে শান্তিপূর্ণ মীমাংসার পদক্ষেপ নিয়েছিলাম। কিন্তু তারা পথেই সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে শর্টগানের গুলি ছোঁড়ার বিষয়টি তিনি স্বীকার করেন। এই ঘটনায় হান্ডিয়াল এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।

(এসএইচএম/এএস/নভেম্বর ০৫, ২০১৪)