নীহার রঞ্জন কুন্ডু, ময়মনসিংহ : গত শুক্রবার ময়মনসিংহ শহরের ৩১ নং ওয়ার্ডে শ্রী শ্রী লক্ষ্মী মায়ের প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। আসামি সাকিব ও সুজন নিজে মুখে স্বীকারোক্তি দেওয়ার পর কোতোয়ালি থানা কর্তৃপক্ষ এই দুজনকে আটক করে থানায় এজাহার দায়ের করেছে বাদী পক্ষ।

এ ব্যাপারে সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আসামীরা উগ্রপন্থী স্বভাবের। অথচ উক্ত ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জামাল নিজে থানায় গিয়ে এ ব্যাপারে খোজ খবর নিয়েছেন। অথচ পাঁচদিন আগেই দুর্গাপূজায় প্রায় একই রকম কায়দায় প্রতিমা ভাঙচুর হয়। প্রত্যেকটি ঘটনাকে এভাবে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে এবং উগ্রবাদীরা একের পর এক ঘটনা ঘটিয়ে যাচ্ছে।

৩১ নম্বর ওয়ার্ডের সনাতনী সম্প্রদায় স্বাধীনভাবে ধর্ম পালন ও বসবাসে ভয় ভীতিতে জীবনযাপন করছে। প্রতিমা ভাঙচুরের পর ব্যাগে ভর্তি করে থানায় আনা হয়। লক্ষ্মী মায়ের প্রতিমাকে এভাবে ব্যাগে করে থানায় নিয়ে ময়মনসিংহ জেলা জাতীয় হিন্দু মহাজোট সাধারন সম্পাদক ডাক্তার নারায়ন চন্দ্র পাল ক্ষোভ ও দূঃখ প্রকাশ করে আসামীদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবী জানান।

বাদীপক্ষের পরিবার মৃত্তিকা শিল্পী, কিন্তু এই জঙ্গি ছেলে গুলো রাস্তা দিয়ে প্রতিমা নিয়ে যাওয়ার সময় তাদেরকে অতর্কিত আক্রমণ করে ও প্রতিমা কেড়ে ভেঙে ফেলা এবং অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করতে থাকে। বলে তুমি মুর্তি বানাতে পারবে না বলেই তাদেরকে মারধর ও করে।

উল্লেখ্য, কিছু তথাকথিত সুবিধা ভোগী স্বঘোশিত হিন্দু নেতা এ ব্যাপারে উদাসীন এবং ব্যক্তিস্বার্থের বিনিময়ে আপোষ মিমাংসার জন্য তদবির চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানান স্থানীয় হিন্দু নেতারা।

এ ব্যাপারে কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ বলেন, আইন অনুযায়ী ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।

(এনআরকে/এসপি/অক্টোবর ২৮, ২০২৩)