প্রবাস ডেস্ক : নিউইয়র্কে একটি ব্যতিক্রমী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ‘শেখ মুজিবের বাংলায়’  (In the Bengal of Sheikh Mujib)’-এর প্রকাশনা উৎসব পালিত হলো। অনুষ্ঠানে কোন সভাপতি বা প্রধান অতিথি ছিলেন না, উপস্থিত সবাইকে সম্মানিত অতিথি হিসাবে ঘোষণা করা হয়। ‘শেখ মুজিবের বাংলায়’ মহাকাব্য-র মোড়ক উন্মোচন করেন উপস্থিত সকল মুক্তিযোদ্ধা। কবিকে সন্মান জানাতে মঞ্চে শুধুমাত্র মহাকাব্যের রচয়িতা নিখিল রায় উপবিষ্ট ছিলেন। গত শুক্রবার জ্যাকসন হাইট্সের নবান্ন পার্টি সেন্টারে অনুষ্ঠানটি হয়। ব্যতিক্রমী এ অনুষ্ঠানটি আমেরিকান ষ্টাইলে সফল উপস্থাপন করেন আশরাফুল আলম বুল্বুল।

এ মহাকাব্য নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ করেছেন ওবায়দুল্লাহ মামুন এবং শিতাংশু গুহ। ওবায়দুল্লাহ মামুন বলেন, বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে প্রথম মহাকাব্য, ধন্যবাদ কবিকে। তিনি অসীম সাহসের পরিচয় দিয়েছেন। মহাকাব্যের সবকিছুই এতে আছে, সমালোচনার জায়গা প্রচুর। অনেক ঘটনা কবি হয়তো ইচ্ছে করেই এড়িয়ে গেছেন। শিতাংশু গুহ বলেন, আমি কবিতা বুঝিনা, কিন্তু কবি নিখিল রায়ের মহাকাব্য বুঝতে আমার অসুবিধা হয়নি। কারণ, একজন বাঙ্গালী হিসাবে মহাকাব্যের মহানায়ককে আমি চিনি। ‘মুজিবের জীবনী মানে পুরো বাংলার সংগ্রামী ইতিহাস, মহাকাব্যে তাই উঠে এসেছে। কবি তাঁর মহাকাব্যে বঙ্গবন্ধুকে আপন মনের মাধুরী মিশিয়ে সাঁজিয়েছেন, এবং তাঁর বর্ণনায় কল্পকাহিনী স্থান পায়নি।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, কবি নিখিল রায় চেষ্টা করেও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে তাঁর বইটি উপহার দিতে পারেননি, যদিও পররাষ্ট্রমন্ত্রী, কনসাল জেনারেল, এবং ক’জন নেতাকে তিনি বইটি দিয়েছিলেন। অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন মুক্তিযোদ্ধা ড: মহসীন আলী, মুক্তিযোদ্ধা খুরশিদ আলম বাবলু, মুক্তিযোদ্ধা শওকত আকবর রিচি, মুক্তিযোদ্ধা অবিনাশ আচার্য্য, মুক্তিযোদ্ধা নুরুল আমিন, আরো অনেকে। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, নবেন্দু দত্ত, আইরিন পারভীন, ড: দ্বিজেন ভট্টাচার্য্য, খান শওকত; টি, মোল্লা, হাকিকুল ইসলাম খোকন, সুশীল সাহা প্রমুখ।

সর্বশেষ কবি নিখিল রায় তার বক্তব্যে কেন তিনি এ মহাকাব্য লিখতে উৎসাহী হলেন তাঁর বিশদ ব্যাখ্যা দেন, তাঁর মতে বাঙ্গালী রচিত রামায়ণ, মহাভারত, বিষাদসিন্ধু, মেঘনাদবধ মহাকাব্য হলেও এর মহানায়করা সবাই অবাঙ্গালী। তিনিই প্রথম বাঙ্গালী যিনি একজন বাঙ্গালী মহানায়ক বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে মহাকাব্য রচনা করেছেন। তিনি বলেন, আমি কতটা পেরেছি তা ভবিষ্যৎ বলবে, তবে আমি চেষ্টা করেছি। অনুষ্ঠান শেষে মনিকা রায় চৌধুরী, শাহ মাহবুব ও সবিতা দাস সঙ্গীত পরিবেশন করেন।

(পিআর/এসপি/অক্টোবর ২৯, ২০২৩)