সোহেল সাশ্রু, কিশোরগঞ্জ : ভৈরবে ট্রেন দুর্ঘটনায় উদ্ধারকৃত ক্ষতিগ্রস্ত ট্রেনের কোচের মালামাল চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার ৫ দিন পর আজ রবিবার বেলা ২টার দিকে দুর্ঘটনার স্থলে গিয়ে দেখা যায় লণ্ডভণ্ড দুটি বগি পড়ে আছে। নিহতদের রক্তের দাগ শুকিয়ে গেলেও এখনো ঘটনা স্থল দেখতে দুর-দূরান্তে থেকে মানুষ জন এসে ভীর করছে।

এলাকাবাসী অভিযোগ করছে, ক্ষতিগ্রস্ত দুই কোচের যন্ত্রাংশ মাদকসেবী ও টুকাইরা চুরি করে নিয়ে যচ্ছে। মানুষের আরালে, খেলার ছলে ও কৌতুহল বসে ট্রেনের কোচের দুটির ভাঙ্গা অংশের ভিতর উঠে প্রতিদিন চুরি করছে ভারি লৌহ মালামাল।

স্থানীয়রা বলেন, রাষ্ট্রীয় সম্পদ রেলের রক্ষণাবেক্ষণ ও ঘটনাস্থলে নিরাপত্তার ব্যবস্থা না থাকায় প্রতিদিনই মাদকসেবী ও অজ্ঞাত লোকজন বিভিন্ন যন্ত্রাংশ নিয়ে যাচ্ছে। অপরদিকে দুর্ঘটনা কবলিতস্থান চিহ্নিত করে জনসাধারণের প্রবেশ নিষিদ্ধ না করায় রেল লাইনের উপর ছোট ছোট ছেলে-মেয়েদের নিয়ে ঘটনাস্থলে আসা লোকজন দুর্ঘটনার শিকার হওয়ারও ঝুঁকি রয়েছে।

উপজেলা মাদক বিরোধী সংগঠনের সভাপতি আনোয়ার পারভেজ বলেন, যেভাবে দিন দিন মাদকাসক্তের সংখ্যা বাড়ছে, তার পরিনতি আমাদের সমাজে ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। বেশীরভাগ মাদকসেবী ও টুকাইরা ভৈরবের বাহিরের বাসিন্দা ও ভ্রাম্যমাণ। মাদকের টাকার অভাবে তারা রাষ্ট্রিয় সম্পদ ক্ষতিগ্রস্ত করতে দ্বিধা করছে না। আমি রেলস্টেশন এলাকায় ঘটনাস্থল দেখেতে গিয়ে যন্ত্রাংশ চুরি হওয়ার বিষয়টি শুনে ব্যতীত হলাম। প্রতিদিন তারা ক্ষতিগ্রস্ত ট্রেনের কোচের লোহার মালামাল চুরি করে নিয়ে স্থানীয় ভাঙ্গারীর দোকান গুলোতে বিক্রি করে মাদকের টাকার যোগান দিচ্ছে। এক কেজি পুরান লোহা বিক্রি করতে পারে ২৫ টাকা থেকে ৩০ টাকায়। মাদকের টাকার লোভে তারা অন্যায় কাজটি করছে। বিষয়টি স্থানীয় রেল পুলিশ নজরে এনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান তিনি।

ভৈরব রেলওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ আলীম হোসেন সিকদার বলেন, যন্ত্রাংশ ও রেলের মালামাল চুরি হোক বা লুট হোক এই গুলো আমার দায়িত্ব না। এটা রেল বিভাগের আরএনবির দায়িত্ব।

ভৈরব রেলওয়ে নিরাপত্তা (আরএনবি) ইন্সপেক্টর এসএম তাজবীর জানান, রেল কর্তৃপক্ষ ক্ষতিগ্রস্ত মালামাল গুলো আমাদেরকে বুঝিয়ে দেয়নি। তারপরও আমাদের সদস্যরা ঘণ্টা পর পর ঘটনাস্থলে গিয়ে মালামাল গুলোর খেয়াল রাখছেন।

(এসএস/এসপি/অক্টোবর ২৯, ২০২৩)