বিপুল কুমার দাস, রাজৈর : মাদারীপুর রাজৈর উপজেলার বদর পাশা ইউনিয়নের পূর্ব দ্বারাদিয়া গ্রামের আব্দুল বাকী মুফতি পিতা মৃত্যু আবুল কাশেম মুফতি। তার নেই কোন একাডেমীক শিক্ষাগত যোগ্যতা অথচ সে তার নিজের প্রতিষ্ঠীত মাদ্রাসার মোহতামিম বলে দাবী করেন।

২৮ অক্টোবর প্রতিদিনের কাগজের প্রতিনিধি স্বাক্ষাতকার নেয়ার জন্য তার মাদ্রাসায় গেলে বেড়িয়ে আসে অনেক অজানা তথ্য। ১০/১২ বছর যাবৎ আব্দুল বাকী পূর্ব দ্বারাদিয়া দারুল উলুম কওমিয়া মাদ্রাসা নামে একটি মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠীত করেন। মাদ্রাসার নেই কোন সাইনবোর্ড। যে জমির উপর মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠীত হয়েছে সেই জমি এখন পর্যন্ত মাদ্রাসার নামে লিখে দেয়া হয়নি। মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ যাবৎ কোন শিক্ষক দুই মাসের বেশি তার অধীনে চাকুরী করিতে পারে নাই। কারন কোন শিক্ষককেই সে ঠিক মত বেতন দিতেন না। এমনকি তাদের সাথে খারাপ আচোরন করতেও কুণ্ঠাবোধ।করতেন না।

এলাকা বাসির মাধ্যমে জানা যায় বাকী মুফতি একজন চিহ্নিত স্বাধীনতা বিরোধী ছিলেন। চুরি ডাকাতি থেকে শুরু করে এহেন কোন অপকর্ম নেই যাহা তিনি করেন নি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি যানান, বাকী মুফতি এক এক করে এ যাবৎ ১৭ টি বিয়ে করেছেন প্রথম স্ত্রী ছাড়া অন্য কোন স্ত্রী বেশি দিন তার সংসারে টিকে থাকতে পারেন নি। বর্তমানে প্রথম স্ত্রী ছাড়া মেয়ের বয়সী আরো একজন স্ত্রী আছে।

অনুসন্ধানে আরো জানা যায়, ৭৫ পরবর্তী সময় তিনি দেশ ছেড়ে খুলনায় আশ্রয় নেয়।এরপর তৎকালিন খুলনার শীর্ষ সন্ত্রাসী এরশাদ শিকদারের সাথে তার সক্ষতা গড়ে উঠে। দীর্ঘ দিন তার সহযোগী হিসাবে কাজ করতেন। এখন তিনি মাদ্রাসার নাম করে বিভিন্ন মহল থেকে চাঁদা বাজী করে বেড়ায়। এলাকাবাসী কোন প্রতিবাদ করতে গেলে হুমকি ধামকি দিয়ে এড়িয়ে যান তিনি।

উপজেলা প্রশাসন সহ সংশ্লিষ্ট উর্ধতন কর্তা ব্যক্তিদের কাছে এলাকাবাসীর প্রেনের দাবী ঘটনাটি অতি জরুরী তদন্ত সাপেক্ষে বাকী মুফতির বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করা হোক।

(বিডি/এসপি/অক্টোবর ২৯, ২০২৩)