আবীর আহাদ


জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশনায় মহান মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনাকারী মুজিবনগর সরকারের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমদ, মন্ত্রিপরিষদের সদস্য ক্যাপ্টেন এম. মনসুর আলী ও এএইচএম কামরুজ্জামানের ৪৮তম শাহাদাত বার্ষিকীতে তাঁদের অম্লান স্মৃতির প্রতি জানাচ্ছি হৃদয়ের গভীরতম শ্রদ্ধাঞ্জলি।

স্বাধীন বাংলাদেশকে ধ্বংস করার লক্ষ্যে দেশীবিদেশী যে স্বাধীনতাবিরোধী প্রতিক্রিয়াশীল অপশক্তি ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্ট পরিবার পরিজনসহ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নির্মমভাবে হত্যা করেছিলো, তারই ধারাবাহিকতায় একই বছরের ৩ নভেম্বর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বঙ্গবন্ধুর বিশ্বস্ত অনুসারী এই চার জাতীয় নেতাকেও তারা নৃশংসভাবে হত্যা করে।

দেশী বিদেশী স্বাধীনতাবিরোধী প্রতিক্রিয়াশীল ধর্মান্ধ অপশক্তি বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চারনেতাকে হত্যা করে কয়েক যুগ বাংলাদেশকে পাকিস্তানি ভাবধারায় পরিচালিত করতে সক্ষম হয়েছিলো। পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধু-কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত রাজনৈতিক-সামাজিক শক্তি, মুক্তিযোদ্ধা ও জনগণ নানান রক্তাক্ত আন্দোলন ও সংগ্রামের মাধ্যমে স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তিকে পরাজিত করে দেশকে আবার মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ফিরিয়ে এনেছেন। বঙ্গবন্ধু-কন্যা এখন দেশ পরিচালনা করছেন। কিন্তু এটাও দুঃখজনক সত্য এই যে, দেশ এখন বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা থেকে দূরে সরে গেছে। অধিকাংশ মুক্তিযোদ্ধা চরম মানবেতর জীবনযাপন করছে। অপরদিকে শাসন ব্যবস্থার ত্রুটির ফলে স্বাধীনতা বিরোধী ধর্মান্ধ দুর্নীতিবাজ লুটেরা মাফিয়া অপশক্তির বিশাল উত্থান ঘটেছে!

আমরা মুক্তিযুদ্ধের মহানায়ক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তাঁর পরিবারবর্গ ও মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনাকারী এই চার জাতীয় নেতার বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করছি এবং তাঁদের শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি। সেই সাথে দেশকে মুক্তিযুদ্ধের মূলধারায় পরিচালিত করার লক্ষ্যে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস গ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছ।

লেখক : চেয়ারম্যান, একাত্তরের মুক্তিযোদ্ধা সংসদ।