রাজন্য রুহানি, জামালপুর : জামালপুরে আওয়ামী লীগের সমাবেশে সরকারি কর্মকর্তা হয়ে আশেক মাহমুদ কলেজের অধ্যক্ষের অংশগ্রহণ বিষয়ে সংবাদটি সত্য নয় বলে দাবি করেছেন ওই কলেজের অধ্যক্ষ মো. হারুন অর রশিদ।

মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) সকালে সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজের অধ্যক্ষ মো. হারুন অর রশিদ স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়- প্রতিদিনের মতো সোমবার সকাল ৬.৩০ মিনিটের দিকে বাসা থেকে বের হয়ে প্রাতঃভ্রমণে যান অধ্যক্ষ মো. হারুন অর রশিদ। শহরের বিভিন্ন জায়গা ঘুরে সকাল ৮টার দিকে বকুলতলা এলাকা দিয়ে যাওয়ার সময় সেখানে জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ফারুক আহাম্মেদ চৌধুরীসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দকে দেখতে পান। সৌজন্যতার খাতিরে সেখানে গিয়ে তাদের সাথে কথা বলে ২/৩ মিনিট পর বাসার দিকে চলে আসেন তিনি। সেখানে বসে থাকার সময় কয়েকজন তার সাথে ছবিও তুলেন।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তিনি আরো বলেন, আমার গায়ে প্রাতঃভ্রমণের পোশাক পরা থাকলেও এই ছবিকে কেন্দ্র করে কয়েকটি গণমাধ্যম ভুল সংবাদ প্রচার করেছে। তারা উল্লেখ করেছেন যে, অধ্যক্ষ মো. হারুন অর রশিদ আওয়ামী লীগের দলীয় কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেছেন। এ ধরনের সংবাদ কলেজ ও অধ্যক্ষের জন্য সম্মানহানিকর।

অধ্যক্ষ মো. হারুন অর রশিদ বলেন- “আমি এই অঞ্চলের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠের অধ্যক্ষ। কলেজ পরিচালনার জন্য এই জেলার সকল স্তরের মানুষের সাথে আমার সুসম্পর্ক রয়েছে। সেই সুবাদেই সকালে বকুলতলা মোড় হয়ে বাসায় ফেরার পথে আমি জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতিকে দেখে তার সাথে কুশল বিনিময় করতে যাই। আর এই সুযোগে কে বা কারা ছবি তুলে এটিকে ভুলভাবে ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করছেন।”

তিনি আরো বলেন-“তারা যেখানে বসে ছিলো সেই জায়গাটি দলীয় কার্যালয় থেকে কিছুটা দূরে। এছাড়াও সেখানে কোনো ব্যানারও ছিলো না। আমাকে দেখে কয়েকজন নেতাকর্মী সম্মান দেখিয়ে চেয়ার ছেড়ে দেয়। আমি সেই চেয়ারে গিয়ে বসে সর্বোচ্চ দুই মিনিট কুশল বিনিময় করে চলে আসি। আমি অনুরোধ করবো এই বিষয়টি নিয়ে কেউ যেনো বিভ্রান্ত না হন।”

(আরআর/এএস/নভেম্বর ০৭, ২০২৩)