শেরপুর প্রতিনিধি : একুশে পদকপ্রাপ্ত লেখক, কলামিষ্ট অধ্যাপক যতীন সরকার বলেছেন, ছাগলের বাচ্চা জন্ম নিয়েই সে ছাগলে পরিণত হয়। কিন্তু মানব সন্তান হিসেবে জন্ম নিলেই একজন মানুষ হয়না, তাকে সমাজে প্রতিনিয়ত সংস্কারের মধ্য দিয়েই মানুষ হতে হয়। মানব সন্তান যে ‘পটেনশিয়ালিটি’ বা সম্ভাবনা নিয়ে জন্মায়, সেই সম্ভাবনার বিকাশ ঘটে সমাজের সংস্কৃতির মধ্য দিয়ে। মানুষ প্রকৃতিকে বদলিয়ে বা সংস্কার করে তার উপযোগী করে নেয়। তিনি বলেন, কেবল গান-বাজনা-নাচ, নাটক-সিনেমাই সংস্কৃতি নয়-সংস্কৃতি হলো-মানুষ যা করে সেটাই হলো সংস্কৃতি অর্থাৎ মানুষের জীবনের সামগ্রিকতাকেই সংস্কৃতি বলা হয়।

শেরপুর জেলা প্রশাসন আয়োজিত এক আলোচনা সভায় অধ্যাপক যতীন সরকার একথা বলেন। ৫ নভেম্বর বুধবার রাতে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষ রজনীগন্ধ্যা মিলনায়তনে এ আলোচনা সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাকীর হোসেন এতে সভাপতিত্ব করেন। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে শেরপুর সরকারি কলেজের সহযোগী অধ্যাপক শিব শংকর কারুয়া, সমাজকর্মী রাজিয়া সামাদ ডালিয়া, জেল সুপার রফিকুল কাদের, সরকারি বালিকা উচ্চ বিধ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জীবন কৃষ্ণ বসু, নবারুন পাবলিক স্কুলের প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। আলোচনা সভার শুরুতে বরেণ্য এই লেখককে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ফুলের তোড়া দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়। আলোচনা সভায় শেরপুর জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাবৃন্দ, শিক্ষক-সাংবাদিক, সংস্কৃতি কর্মী ও সুধীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

অধ্যাপক যতীন সরকার বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে হবে। তিনি প্রাথমিক পর্যায়ে নানামুখী শিক্ষার পরিবর্তে একমুখী শিক্ষা চালু দাবি জানিয়ে বলেন, এই একমুখী শিক্ষাই হলো আমাদের সংবিধানের মূল স্পিরিট। আর তা না হলে সমাজে মানুষে মানুষে বিভেদ সৃষ্টি হয়।

(এইচবি/এএস/নভেম্বর ০৬, ২০১৪)