রিপন মারমা, রাঙ্গামাটি : ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য পরিবেশে নানা আনুষ্ঠানিকতায় রাঙামাটি কাপ্তাইয়ে বরইছড়ি মারমা পাড়ায় সার্বজনীন বৌদ্ধ বিহারে ৩য় তম দানোত্তম কঠিন চীবর দান অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার (১০ নভেম্বর ) বরইছড়ি সার্বজনীন বৌদ্ধ বিহার দায়ক দায়িকাদের আয়োজনে পঞঞাচারা মহাথের সভাপতিত্বের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ভদন্ত উ.পামোক্ষা মহাথের এতে প্রধান দায়ক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জেলা পরিষদ সদস্য দীপ্তিময় তালুকদার।সকাল থেকে শুরু হয়েছে দিনব্যাপী কঠিন চীবর দান উৎসব।

দিনব্যাপী দানোত্তম কঠিন চীবর উপলক্ষে দূর দূরান্ত থেকে পুণ্য সঞ্চয়ী করার জন্য শতশত পুণ্যার্থীরা বিহারে সমবেত হয়।

কঠিন চীবর দান উপলক্ষে বৌদ্ধ বিহারে বুদ্ধ পূজা, পঞ্চশীল গ্রহণ, সংঘদান, অষ্ট পরিষ্কার দান,পানীয় দান, প্রয়াত‌ মংলু‌ মারমা‌ এবং প্রয়াত‌ তার সহধর্মিণী ‌ ম্রাজুপ্রু‌ মারমা ‌ উদ্দেশ্যে তার বড়‌ ছেলে ‌ অংথোয়াইচিং‌ মারমা‌ ও২য়‌ ছেলে মুইচিং‌ মারমাসহ বড়‌ মেয়ে ‌ উসাংপ্রু‌ মারমা‌ ‌ সিমা‌ ঘর‌ স্থাপন‌ প্রবজ্জ্যা‌ উপসম্পদা কল্পতরু দানসহ সকল দানীয় বস্তু দান করা হয়। এসময় ধর্মীয় গুরুরা পুন্যার্থীর উদ্দেশে ধর্ম দেশনা প্রদান করেন।
এসময় জগতের সব প্রাণীর সুখ শান্তি ও মঙ্গল কামনা করা হয়। ধর্মীয় আলোচনা করেন,ভদন্ত উ.সনা মহাথের।

দায়ক দায়িকারা এসময় যে যার সাধ্যমতো প্রদীপ প্রজ্বলন, ফুল-ফল, ছোয়াইং (খাবার) প্রদান করে বৌদ্ধসহ ভান্তেদের তা দান করে। সন্ধ্যায় ভগবান বৌদ্ধের উদ্দেশ্যে আকাশে আকাশ প্রদীপ (ফানুস বাতি) উড়িয়ে দেওয়া হবে।

উল্লেখ,আজ থেকে আড়ায় হাজার বছর আগে মহামতি গৌতম বুদ্ধের জীবদ্দশায় তার প্রধান সেবিকা মহা পুণ্যবতী বিশাখা ২৪ ঘণ্টা মধ্যে তুলা থেকে সুতা তৈরি করে সুতা গুলো রং করে বয়ন করে সেলাই শেষে চীবর বিশেষ পরিধেয় বস্ত্র দান কার্য সম্পাদন করেন। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মহাযজ্ঞ সম্পাদন করার কারণে বৌদ্ধরা এই ধর্মীয় উৎসবকে কঠিন চীবর দান বলে। এ দান অন্য যে কোন দানের চেয়ে শ্রেষ্ঠদান হিসেবে মনে করা হয়।

এসময়ে কঠিন চীবর দানৎসবে আরও উপস্থিত ছিলেন, বরইছড়ি সার্বজনীন বৌদ্ধ বিহার কমিটি উপদেষ্টা ‌নিসাইপ্রু মারমা, আপাই মারমা, সভাপতি থোয়াইজ‌ মারমা‌‌, সাধারণ সম্পাদক ‌ উবাচিং‌ মারমা,অংসাখই‌ কারবারি, অংসাচিং মারমা প্রমুখ।

(আরএম/এএস/নভেম্বর ১১, ২০২৩)