দীপক চন্দ্র পাল, ধামরাই : প্রয়াত অভিভাবক ও মৃত-স্বজনদের মঙ্গল কামনায় ধামরাই পৌর মাশশ্মানে ব্যাপক আয়োজনে দীপাবলী উৎসবে প্রদীপ প্রজজ্বলন ও প্রার্থনায় অংশ নেন হাজারো নারী-পূরুষ।অংশ গ্রনকারী স্বজনদের এই শশ্মানেই মৃত্যুর পর দাহ করা হয়েছে। পুজা উপলক্ষ্যে স্মৃতিমন্থন করতে ভক্ষ পুজারী ও ভক্তদের ঢল নামে।

প্রান গোপাল পাল বলেন তার মা ভানু মতি ও বাবা শচীন্দ্র পালকে ১৫ বর আগে মৃত’্রর পর এই শশ্মানে দাহ করা হয়েছে। তিনি এসেছেন প্রমীপ ধূপ ও জ্বালিয়ে দীপাবলী পুজা উৎসবে পিতার আত্মার শান্তি কামনায়।

নন্দ গোপাল সেন বলেন, আমিও এক দিন এমনি ভাবে এ পৃথিবী থেকে বিদায় নেবো তবে কবে তা জানা নেই।শনিবার রাতে দায়িত্ব শীল একজন ব্যক্তি হিসেবে এখানে পর্যবেক্ষনে এসেছেন। শ্যামাপুজা মহা শশ্মানে ব্যাপক আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়। কমিটির পক্ষ থেকে এ উৎসবের আয়োজন করে প্রতি বছর। তিনিও একই আশায় মহা শম্মানে শনিবার রাতে প্রদীপ জ্বালিয়ে ইশ্বরের কাছে প্রার্থনা জানাতে এসেছেন প্রয়াত পিতা বমেশ সেন ও মাতা গোলাপী সেন সহ পরিবারের প্রয়াত সকলের আত্মার শান্তি পায় এজন্যে। পাঠানটোলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা সুরজনি বৈরাগী বলেন পরলোকে যারা চলে গেছেন তাদের ও দেশের সকলে মঙ্গল কামনায় মহা শশ্মানে বাতি জ্বালিয়ে মঙ্গল প্রার্থনা করেছি বলেন।

ঢাকার বুলবুল ললিতকলা একাডেমী তবলার শিক্ষক অনুপ দে বলেন পুজা ও দীপবলি উৎনব উপভোগ করছি। তিনি বলেন, তার স্ত্রী অঞ্জু নেই ও তার পরিবারের সকলের আত্মার শান্তি কামনায় শশ্মানে প্রদীপ জ্বালিয়ে স্মরন করেনঅ তিনি যেন স্বর্গবাসী হয় সকলেই ভালো থকেন এপ্রার্থনা করেছে। ।
ধামরাই উপজেলার বিভিন্ন স্থানে প্রতি বারের মতো এবারো শান্তিপূর্ন ভাবে দুই শতাধিক মন্দিরে কালী (শ্যামা)পূজা ও দীপাবলী উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। সব চেয়ে বড় আয়োজনটি ছিল ধামরাই পৌর মহাশশ্মানে। শনিবার রাতে এই পৌর মহা শশ্মানে আলোচনা সভা ও মনোজ্ঞ এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

মহা শশ্মান কমিটির সভাপতি প্রান গোপাল পালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ধামরাইয়ের পৌর মেয়র আলহাজ্ব গোলাম কবীর মোল্লা। কবীর মোল্লা বলেন আলো ঝলমল এই পরিবেশে আপনারা ধর্ম পালস করবেন্ আমরা আপানাদের পাশে আছি থাকবো।আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকায় ভোট দিয়ে শেখ হাসিার হাকবে আরো শক্তিশালী করা আহ্বান জানান।তিনি পৌর মহা শশ্মানে ৫০ হাজার টাকা অনুদান দেন। উপযুক্ত আলোর ব্যবস্থা করে দেবেন।

বিশেষ অতিথি ছিলেন ১ নং ওর্য়াডের কাউন্সিলর আরিফুর রহমান, ঢাকা জেলা পুজা উদ্যাপন পরিষদের সাধারন সম্পাদক নন্দ গোপাল সেন, ধামরাই পৌর সভার ২নং ওর্য়্ড কাউন্সিলর আমজাদ হোসেন।অনুষ্ঠানটি সার্বিক পরিচালনা করেছেন সম্পাদক নন্দ গোপাল সেন।

প্রতিটি মন্ডপে রাতে আলোক-সজ্জা করেছে মন্দিরের পক্ষ থেকে । গভীর রাতে পূজার্চনা সম্পন্ন হয়।
ভক্তরা মহাশশ্মানে মোমবাতি, ধূপ কাঠি ,জ্বালিয়ে বাতাসা মিষ্ঠি বিলিয়েছে পিতা মাতা ও প্রয়াত ব্যাক্তিদের আত্মার মঙ্গল প্রার্থনায় ব্রতী হয়। এছাড়াও প্রতিটি গৃহে ভবনে দেওয়ালে দোকানে মোম বাতি প্রজ্জ্বলন করা হয়।দীপাবলীতে ছোটো বড় সকল বয়সের মানুষ আতসবাজি সহ নানা ধরনের পটকা ফুটিয়ে উৎসব পালন করেছে।

এলাকার হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতিটি গৃহে বংশের প্রয়াত সকলের মঙ্গল কামনায় বাতি জ্বালিয়েছে। শিশুরা ফুটিয়েছে বাজি। এর মধ্যে শ্যামা পূজা দীপাবলী উপলক্ষে হাজার হাজার ভক্তবৃন্দের ঢল নামে ধামরাই পৌর মহা শশ্মান ও মন্দির গুলোতে। শান্তিপূর্ন ভাবেই কালী বা শ্যামা পূজা উৎসব সম্পন্ন হয়েছে।

এ ব্যাপারে ধামরাই পৌর মহাশশ্মানের সভাপতি প্রাণ গোপাল পাল বলেন, এবার আয়োজনের দিক দিয়ে জাকমকতা ছিল বেশী। সন্ধ্যার পর থেকে ভক্ত বৃন্দের ঢল নামে মহা শশ্মানে । গভীর রাতে পূজা শেষে ভক্তদের মাঝে প্রসাদ বিতরন করা হয়।রবিবার সকালেও প্রসাদ বিতরন করা হয়।

(ডিসিপি/এসপি/নভেম্বর ১৩, ২০২৩)