নীহার রঞ্জন কুন্ডু, ময়মনসিংহ : ১৪ নভেম্বর মঙ্গলবার ময়মনসিংহ পরিবহন শ্রমিক  আব্দুর রাজ্জাক রাকিব হত্যায় ন্যায় বিচারের দাবিতে শম্ভুগঞ্জ টোলপ্লাজার সামনে  মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনটি পরবর্তীতে জনসভায় রুপান্তরিত হয়। সকাল ১১টায় মানব্বন্ধনটি শুরু হয় বেলা এক টায় শেষ হয়। উল্লেখ্য গত ১১ নভেম্বর রাতে তারাকান্দা থেকে ফেরার পথে চায়না মোড় নামক স্থানে এক ট্রাকড্রাইভের সাথে শাওন নামক (বহিস্কৃত) যুবলীগ নেতা, বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়ে, এবং শাওন ও তার সন্ত্রাসীদের হাতে নির্মমভাবে খুন হয় শ্রমিক আব্দুর রাজ্জাক রাকিব (রাকিব), (২৪) সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িত হয়ে যুবলীগ থেকে শাওনকে বহিস্কার করা হয়, তথাপি শাওন স্থানীয় প্রতিমন্ত্রীর আস্থাভাজন হওয়ায় বেপরোয়া হয়ে উঠে, গত ০৩ বছর পুর্বে বিপুল পরিমান অস্ত্র ও মাদক সহ র‍্যাব ১৪ তাকে গ্রেপ্তার করে, তখন তার কাছ থেকে-২টি পিস্তল, ১টি রিভলবার, ৩টি ম্যাগজিন, ২ টি শর্টগান সহ বিপুল পরিমান দেশীয় অস্ত্র ও মাদক উদ্ধার হয়। জেলখেটে বের হবার পর ক্ষমতাসীন দলের ছত্রছায়ায় ও প্রতিমন্ত্রীর আশির্বাদ নিয়ে সে ধরাকে সরা জ্ঞানে আরও বেপরোয়া হয়ে উঠে।

ময়মনসিংহ মডেল থানায় শাওনের নামে হত্যা, চাদাবাজি, অস্ত্র, মাদক মামলা সহ ১০ টি মামলা রজু আছে। প্রতিমন্ত্রীর ছায়ায় থেকে শাওন এহেনও অপকর্ম নাই যা করে না। এরই ধারাবাহিকতায় তারাকান্দা উপজেলায় প্রতিমন্ত্রীর নির্বাচনী কর্মসূচি থেকে ফেরার পথে সমান্য বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে শাওন ও তার সন্ত্রাসীদের হাতে নির্মমভাবে খুন হয় শ্রমিক রাকিব।

এই ঘটনায় নিহতের মা হাসি আক্তার শাওন ও তার ভাই পারভেজসহ ১৬ জনের নাম উল্লেখ করে ১২ জন অজ্ঞাত রেখে ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন-। ঘটনার ৩ দিন পেরিয়ে গেলেও এ পর্যন্ত গ্রেপ্তার হয় নাই শাওন বা তার বাহিনীর কোনো খুনি।

এ ব্যাপারে কোতোয়ালি মডেল থানা অফিসার ইনচার্জ শাহ কামাল আকন্দ বলেন, শাওনের নামে আগের ১০ টি মামলা আছে, আর ও একটি হত্যা মামলা রজু হয়েছে, আমাদের সর্বাত্মক চেষ্টা শাওন ও তার সাঙ্গপাঙ্গদের গ্রেপ্তার করা।তিনি এ ব্যাপারে কোনো রাজনৈতিক প্রভাব বা চাপ নেই বলে জানান।

মানব বন্ধনে বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামিলীগ সাধারণ সম্পাদক কাউন্সিলর এমদাদুল হক, শ্রমিক নেতা চানু মিয়া, শ্রমিক নেতা মোঃ আলী,জাতীয় পার্টির উপজেলা দপ্তর সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিকী,৩২ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ নেতা শামসুল হক মেম্বার,বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী খোরশেদ আলম,৩৩ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ নেতা মুক্তার আহমেদ, ও রাকিবের চাচা আবু বক্কর সিদ্দিকী সাগর। বক্তৃতায় সবাই বলেন হত্যার সুষ্ট বিচার করতে হবে, ৩ দিন পেরিয়ে গেলেও এখনও আসামী ধরা ছোয়ার বাহিরে, কাউন্সিলর এমদাদুল হক ৪৮ ঘন্টা সময় বেধে দিয়ে বলেন, এই সময়ের মধ্যে যদি আসামী শাওন ও তার সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করা না হয় তাহলে শ্রমিক =দের সঙ্গে নিয়ে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।

এ সময় নিহত রাকিবের স্ত্রী ও ৯ মাসে শিশু বাচ্চাকে নিয়ে বার বার মুর্ছা যাচ্ছিলেন। এ ব্যাপারে ময়মনসিংহ শহরে শ্রমিকদের মধ্য উত্তেজনা বিরাজ করছে।

(এনআরকে/এএস/নভেম্বর ১৪, ২০২৩)