রবিউল ইসলাম, গাইবান্ধা : গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার ঠুটিয়াপাকুর আলহাজ্ব একরাম উদ্দিন দাখিল মাদ্রাসাটি দায়িত্বরত সুপার, শিক্ষক, কর্মচারীদের ইচ্ছামতো চলছে পরিচালিত হচ্ছে। বিজ্ঞান ল্যাব না থাকার পরেও দেওয়া হয়েছে ল্যাব সহকারি নিয়োগ এছাড়াও রয়েছে নিয়োগ বানিজ্যসহ মাদ্রাসার জায়গায় বহুতল মার্কেট স্থাপন করে অর্ধ কোটি টাকার বানিজ্যের অভিযোগ। 

আজ বুধবার বেলা ১২ টার সময় মাদ্রাসায় গিয়ে দেখা যায় হাজিরা খাতায় সকল শিক্ষক কর্মচারি স্বাক্ষর করে গেছেন। মাদ্রাসার সহকারি শিক্ষক আব্দুল মান্নান মন্ডল ও আরিফুল ইসলাম দুটি ক্লাসে কয়েকজন শিক্ষার্থী বার্ষিক পরীক্ষা গ্রহন করছেন। এসময় মাদ্রাসাটির নৈশ প্রহরী সবুজ মিয়া কে পাওয়া গেলেও অন্য কোন শিক্ষক কর্মচারীকে পাওয়া যায়নি।

উপস্থিত শিক্ষক দুইজন ও কর্মচারি জানান,সকালে সবাই এসেছিলো কিছুক্ষণ আগে সুপার ও অন্যান্যরা চলে গেছে। আমরা দুই শিক্ষক বার্ষিক পরীক্ষায় দায়িত্ব পালন করছি।

এ বিষয়ে মাদ্রাসার সুপার আজাহারুল ইসলাম এর সাথে কথা বললে তিনি জানান,অসুস্থ্যতার কারণে মাদ্রাসা থেকে বাড়ী চলে গেছেন। তিনি দাবী করেন অন্যান্য শিক্ষক কর্মচারীরা মাদ্রাসায় রয়েছে। তবে নিয়োগ বানিজ্য ও বহুতল মার্কেট নির্মাণের বিষয়ে কথা বলতে ফোনটি কেটে দেন মাদ্রাসা সুপার।

এবিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এবিএম নকিবুল হাসান জানান, মাদ্রাসার পরিচালনা পরিষদের সভাপতিসহ অন্যান্যাদের কারণে এমন ঘটনা ঘটতে পারে, যেহেতু তারা বেতন দেন তারা এটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারেন। আমরাও দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবো।

(আরআই/এসপি/নভেম্বর ১৫, ২০২৩)