কাজী দেলোয়ার হোসেন, স্টাফ রিপোর্টার : সাভারের আশুলিয়ায় আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী সাইফুল ইসলামের কর্মসূচীতে দুই গ্রুপের মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনা ধামাচাপা দিতে সাংবাদিকদের সাথে অসৈজন্যমূলক আচরণের অভিযোগ উঠেছে। সাইফুল ইসলাম আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ধামসোনা ইউনিয়ন পরিষদের সদ্য পদত্যাগকৃত চেয়ারম্যান।

বুধবার রাতে আশুলিয়ার পল্লীবিদ্যুত এলাকায় লন্ডনাস রেষ্টুরেন্টের সামনে মারামারির ঘটনা ধামাচাপা দিতে উপস্থিত প্রত্যেক সাংবাদিকের মোবাইল ও ক্যামেরা চেক করা হয়। এমন আচরণে বিব্রত ও হতভম্ব হয়েছেন সাংবাদিকরা।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বুধবার রাতে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর আশুলিয়ায় আনন্দ মিছিলের পর পল্লীবিদ্যুত এলাকায় ওই রেষ্টুরেন্টের সামনে খিচুরী বিতরণের সময় হট্টোগোল সৃষ্টি হয়। এসময় হাসান মন্ডলের সমর্থকদের সাথে একাধিক হত্যা মামলার আসামি সুলতান ও তার লোকজন মারামারিতে লিপ্ত হন।

ঘটনাটি কয়েকজন সাংবাদিক চিত্র ধারণ করলে উপস্থিত সকল সাংবাদিকদের আটকে রেখে তাদের মোবাইল ফেন, ক্যামেরা চেক করেন মনোনয়ন প্রত্যাশী সাইফুল ইসলাম ও তার লোকজন। এসময় সাংবাদিকদের সাথে অসৈজন্যমূলক ব্যবহার করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন সংবাদকর্মী।

এর আগে, গত সোমবার আশুলিয়ায় যুবলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে এক কর্মীকে পোটান থানা যুবলীগের আহ্বায়ক কবির হোসেন সরকার। এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করে বিভিন্ন গণমাধ্যম। সেই ঘটনার মত আজকের ঘটনাটি নিয়ে যেন বিতর্ক সৃষ্টি না হয় এজন্য ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে এমটি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সাইফুল ইসলামের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র।

(কেডিএইচ/এএস/নভেম্বর ১৬, ২০২৩)