সোহেল সাশ্রু, কিশোরগঞ্জ : কিশোরগঞ্জের ভৈরবে চাচা-ভাতিজার দ্বন্দ্বে ৩০ জন আহত হয়েছে। উপজেলার শ্রীনগর ইউনিয়নের বধূনগর গ্রামে ফর্সার বাড়ি বংশের চাচা খালেদ মিয়া ও ভাতিজা এমাদ মিয়ার মধ্যে জমি সংক্রান্ত দ্বন্দ্বে এ ঘটনা ঘটে। আজ শনিবার সকাল ৭টায় চাচা-ভাতিজার দ্বন্দ্বে বধূনগর গ্রামে দুই গ্রুপে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ তথ্য নিশ্চিত করেন ভৈরব থানা অফিসার ইনচার্জ মো. সফিকুল ইসলাম।

এ ঘটনায় ৩০ জন আহত হলেও তাদের মধ্যে শাহ আলম (৪৫), আসাবুদ্দিন (৪০) ও জাহের মিয়া (৫৫) গুরুত্বর আহত অবস্থায় কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক শারমিন আক্তার। নজরুল, জাকির, লাকী বেগম, দিপালী বেগম, উজ্জ্বল, রুবেল, জাহাঙ্গীর, মোখলেছ, ইমরান, অন্তর, টিপু, শফিউল আলম, চান মিয়া, রহিম, আমিনুলসহ ২২ জন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিলেও অন্যান্যরা বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা নিয়েছেন।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, গত ১৬ নভেম্বর বৃহস্পতিবার খালেক মিয়া তার বাড়িতে ঘর তুলতে গেলে বাধা দেন ভাতিজা এমাদ মিয়া। এ সময় তাদের মধ্যে মারামারি হয়। এই মারামারিকে কেন্দ্র করে আজ ১৮ নভেম্বর সকাল ৭টায় সংঘর্ষে রূপ নেই। এ ঘটনায় খালেক মিয়ার পক্ষে উছমান চেয়ারম্যানের বাড়ির ও কাউয়া বাড়ির সাবেক ইউপি সদস্য জাহের মিয়ার লোকজন যোগ দেন। অপরদিকে ভাতিজা এমাদ মিয়ার পক্ষে নবার বাড়ির বর্তমান ইউপি সদস্য খুর্শিদ মিয়া ও কান্দার বাপের বাড়ির মুর্শিদ মিয়ার লোকজন যোগ দেয়। ফলে দু’পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা আরো জানান, গত সম্প্রতি বধূনগর গ্রামের একটি মসজিদের কমিটির ক্যাশিয়ার পরিবর্তন নিয়ে চাচা-ভাতিজার মধ্যে দ্বন্দ্ব হয়। মসজিদ কমিটির সভাপতি চাচা খালেক মিয়া ও ভাতিজা এমাদ মিয়া সাধারণ সম্পাদক। এর রেশ ধরেই দীর্ঘদিন ধরে চাচা-ভাতিজার মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল।

এ বিষয়ে শ্রীনগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি আবুল বাশার বলেন, ফর্সার বাড়ির চাচা-ভাতিজার দ্বন্দ্বে আমরা গ্রামবাসী অতিষ্ট হয়ে আছি। তাদের বিচারের শালিসী দরবারে আনতে গেলে তারা পাল্টি দেই। গ্রামের স্থানীয় নেতৃবৃন্দদের তারা মানেনা। তাদের দ্বন্দ্বের বিষয় নিয়ে ইতিমধ্যে মামলাও চলমান রয়েছে। আমি প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষন করছি।

এ বিষয়ে ভৈরব থানা অফিসার ইনচার্জ মো. সফিকুল ইসলাম বলেন, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে খালেক মিয়া ও এমাদ মিয়ার মধ্যে দ্বন্দ্ব হয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

(এসএস/এসপি/নভেম্বর ১৮, ২০২৩)