কুমিল্লা প্রতিনিধি : সরকারি দায়িত্ব আর রাজনীতির চরম ব্যস্ততার মধ্যে দ্বিগুণ উৎসাহ নিয়ে বিয়ের অনুষ্ঠানিকতা শেষ করার পর সামাজিক-পারিবারিক রীতি অনুযায়ী রেলপথ মন্ত্রী মুজিবুল হক স্ত্রীকে নিয়ে এখন দ্বিরাগমনে শ্বশুরালয়ে অবস্থান করছেন।

শুক্রবার সকালে রেলপথ মন্ত্রী স্ত্রীকে নিয়ে কুমিল্লার চান্দিনার মিরাখলার শ্বশুরবাড়িতে আসেন। দুপুরে মিরাখলা দক্ষিণপাড়া জামে মসজিদে মান্যগণ্য ব্যক্তিদের সঙ্গে নামাজ আদায় করেন তিনি। রেলপথ মন্ত্রীর শ্বশুরবাড়ির এক নিকটাত্মীয় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

রেলপথ মন্ত্রী মুজিবুল হক (৬৭) ও তার স্ত্রী হনুফা আক্তার রিক্তার (৩০) আড়াই দিন সেখানে অবস্থানের রীতি রয়েছে। বিয়ের পর কনের বাপের বাড়িতে স্বামীসহ আড়াই দিন অবস্থানের রীতিকেই দ্বিরাগমন বলা হয়ে থাকে। বিধান অনুযায়ী, এই সময়ে বর শ্বশুরবাড়ির খুব ঘনিষ্ঠ আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে অন্তরঙ্গ মুহূর্ত কাটাবেন, পরিচিত হবেন। পাশাপাশি শ্বশুরবাড়ির লোকজনও পারিবারিক-সামাজিক ঐতিহ্য অনুযায়ী বরকে আদর-আপ্যায়ন করবেন। দ্বিরাগমনে আড়াই দিন থাকার নিয়ম চালু থাকলেও গুরুত্বপূর্ণ কাজ থাকায় রেলপথ মন্ত্রী শুক্রবার সারাদিন ও রাত্রি যাপনের পর শনিবার (৮ নভেম্বর) সকালেই শ্বশুরালয় ত্যাগ করে ঢাকায় ফিরবেন বলে পরিবারের সদস্যরা নিশ্চিত করেছেন। গত ৩১ অক্টোবর মহাধুমধামে রেলপথমন্ত্রী বিয়ে করেন। তার আগে গত ২৯ অক্টোবর পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ধুমধামে রাজধানীতে আয়োজন করা হয় গাঁয়ে হলুদ অনুষ্ঠানে। সেখানে মুজিবুল হকের ঘনিষ্ঠ রাজনৈতিক ব্যক্তিরাও উপস্থিত ছিলেন।

পরে ৩১ অক্টোবর রাজকীয়ভাবে বরবেশে প্রায় সাত শতাধিক বরযাত্রী নিয়ে শ্বশুরবাড়ি গিয়ে বিয়ে সম্পন্ন করেন রেলপথ মন্ত্রী। এদিনই নববধূকে নিয়ে রাজধানীর বেইলি রোডের মন্ত্রীপাড়ার সরকারি বাসভবনে উঠেন মন্ত্রী। সরকারি ও ব্যক্তিগত কাজের সুবিধার্থে আগামী ১৪ নভেম্বর ঢাকায় সংসদ ভবনে ও ৬ ডিসেম্বর নির্বাচনী এলাকা চৌদ্দগ্রামের নিজ বাড়িতে বৌ-ভাতের আয়োজন করা হয়েছে বলে রেলপথ মন্ত্রীর পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

(ওএস/এটিআর/নভেম্বর ০৭, ২০১৪)