তপু ঘোষাল, সাভার : ঢাকা জেলার সাভারের আশুলিয়ায় ছিনতাইয়ের ঘটনায় ২ জনকে গ্রেফতার করেছেন থানা পুলিশ। এ ঘটনায় শামীম হোসেন নামের একজন ভুক্তভোগী আহত হয়।

বুধবার (২৯ নভেম্বর) সকালে ছিনতাই চক্রের ২ সদস্যকে আদালতে প্রেরণের বিষয়টি নিশ্চিত করেন আশুলিয়া থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মোঃ মমিনুল ইসলাম।

এর আগে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আশুলিয়ার নবীনগর জয় রেস্তোরাঁর সামনে থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। এঘটনায় ভুক্তভোগী থানায় একটি মামলা করেন। মামলা নং ৭৬, তারিখ ২৯/১১/২০২৩।

গ্রেফতারকৃত মোঃ মেহেদী হাসান (১৯) ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানার এনায়েতপুর এলাকার মোঃ বাবুল মিয়ার ছেলে। অন্যজন হলো মোঃ তামিম হাসান (২০) কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর থানার বৈরাগীচরের মোঃ মুনতা মন্ডলের ছেলে। সে আশুলিয়ার পল্লীবিদ্যুৎ বাঁশবাড়ী এলাকায় ভাড়া থেকে তার সহচর মেহেদীর সাথে বিভিন্ন স্থানে এই ছিনতাই করে আসছে।

ভুক্তভোগী মোঃ শামীম হোসেন (৩৩) জামালপুর জেলার বানারের পাড় গ্রামের মৃত হাসমত আলীর ছেলে। তিনি আশুলিয়ায় থেকে চাকরি করেন।

ভুক্তভোগী শামীম হোসেন বলেন, আমি মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সেনা শপিং কমপ্লেক্স থেকে কেনাকাটা করে পায়ে হেঁটে নবীনগর জয় রেস্তোরাঁর সামনে গেলে ছিনতাইকারীরা মোটরসাইকেল যোগে আমার সামনে এসে গতিরোধ করে। এরপর আমাকে মারবে বলে তাদের হাতে থাকা চাকু দিয়ে ভয় দেখায় এবং আমার কাছে যা আছে তা বের করে দিতে বলে। আমি দিতে রাজি না হলে একপর্যায়ে আমাকে কিল ঘুষি মারতে থাকে এবং আমার সঙ্গে নগদ অর্থ ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। আমার আর্তচিৎকারে লোকজন ছুটে এসে আমাকে উদ্ধার করে। সেই সাথে তারা ছিনতাইকারী ২ জনকে ধরে টহলরত পুলিশের হাতে সোপর্দ করেন। এ ঘটনায় আমি গুরুতর আহত হই। পরে ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেই। এরপরে থানায় মামলা দায়ের করি।

এবিষয়ে জানতে আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোঃ নুরুল ইসলামকে ফোন করা হলে তিনি বলেন, আমি কোন বক্তব্য দিতে পারবো না, বক্তব্য দিবে আমার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ। আপনারা মামলার নকল দেখেন তাতে বিস্তারিত দেয়া আছে। পরে ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মোঃ মমিনুল ইসলামকে ফোন করা হলে তিনি বলেন, এঘটনায় একটি মামলা হয়েছে এবং তাদেরকে আটক করে আদালত পাঠানো হয়েছে।

(টিজি/এএস/নভেম্বর ২৯, ২০২৩)