মিশুক আহমেদ জয়, কুষ্টিয়া : কুষ্টিয়ার দুটি আসন থেকে ন্যাশনাল পিপলস পার্টির প্রার্থী হিসেবে বাবা-ছেলের দাখিল করা মনোনয়নপত্র বাতিল করে দিয়েছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। বাবা মো. ফজলুল হক কুষ্টিয়া-১ (দৌলতপুর) ও ছেলে এজেএম শাহিদুজ্জামান কুষ্টিয়া-২ (মিরপুর-ভেড়ামারা) আসন থেকে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন।

সোমবার বেলা ১১টায় শুরু হওয়া মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের সময় কুষ্টিয়ার মোট বাতিল হওয়া ১৭টির মধ্যে তাদের নামও আসে। জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা জেলা প্রশাসক এহেতেশাম রেজা জানান- বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে পাঠানো তথ্যে তাদের ঋণখেলাপী হিসেবে উলে­খ করা হয়েছে।

এসময় মো. ফজলুল হক দাঁড়িয়ে বলেন, আমার কোনো ঋণ নেই। কেন বাতিল হলো বুঝতে পারছি না। পরে রিটার্নিং কর্মকর্তা বাতিলের সার্টিফাইড কপি তুলে আপিল করার পরামর্শ দেন।

জেলা নির্বাচন অফিসের করা কুষ্টিয়া-১ আসনের মনোনয়নপত্র দাখিলকারীদের তালিকায় ২ নং সিরিয়ালে আছেন বাবা মো. ফজলুল হকের নাম। তার বাবার নাম আজাহার আলী, মাতা আবেজান, জন্ম তারিখ দেয়া আছে ১৯৫৭ সালের ৫ই জুন। ঠিকানা দেয়া আছে- গির্জানাথ মজুমদার সড়ক, কমলাপুর, কুষ্টিয়া।

আর কুষ্টিয়া-২ আসনের দাখিলকারীদের তালিকায় ৩ নং সিরিয়ালে আছেন ছেলে এজেএম শাহিদুজ্জামানের নাম। তার পিতার নাম মো. ফজলুল হক ও মাতার নাম দেয়া আছে হামিদা আক্তার। জন্ম তারিখ দেয়া হয়েছে ১৯৯৬ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি। তার ক্ষেত্রে ঠিকানা লেখা আছে গ্রাম জিএনএম রোড, কুষ্টিয়া সদর। বাবার ঠিকানা গির্জানাথ মজুমদার সড়ককে সংক্ষিপ্ত করে ছেলের ক্ষেত্রে জিএনএম রোড লেখা হয়েছে।

ঠিকানায় খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে- শহরের কমলাপুরে নবীন প্রামানিক স্কুলের সামনে তিন তলা একটি বাড়ি মো. ফজলুল হকের। তিনি অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য। বাড়িরই নিচে একটি দোকান পরিচালনা করেন ফজলুল। আর ছেলে এজেএম শাহিদুজ্জামানও এই বাড়িতেই থাকেন। তার ইলেক্ট্রনিক পণ্যের ব্যবসা আছে। দুপুর থেকে বিকাল পর্যন্ত বাবা ছেলের মোবাইল বন্ধ ছিলো। তাদের বাসায় ও দোকানে গিয়ে পাওয়া যায়নি।

নাম প্রকাশ না করে এক স্থানীয় বাসিন্দা জানিয়েছেন, তাদের রাজনৈতিক কোন তৎপরতা দেখা যায়নি আগে। হঠাৎ শুনলাম বাবা ছেলে দুই জনই দুই আসনে ভোটে দাঁড়িয়েছেন। সম্ভবত পার্টি থেকে প্রার্থী দিতে বলায় বাইরের লোক না খুঁজে বাবা-ছেলে নিজেরাই প্রার্থী হয়েছেন।

(এমএজে/এএস/ডিসেম্বর ০৫, ২০২৩)