শাহ্ আলম শাহী, দিনাজপুর : নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন অভিযোগের জবাব দিলেন দিনাজপুর (বিরামপুর, নবাবগঞ্জ, ঘোড়াঘাট ও হাকিমপুর)-৬ আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী শিবলী সাদিক। 

আজ মঙ্গলবার বিকেলে তিনি নির্বাচনী এলাকা-১১-এর নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান ও সহকারী জজ হাসিবুজ্জামানের কাছে এই জবাব দেন। এর আগে সোমবার ১১-এর নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান ও সহকারী জজ হাসিবুজ্জামান স্বাক্ষরিত একটি কারণ দর্শানো চিঠি শিবলী সাদিক এমপি'কে দেয়া হয়।চিঠিকে শিবলী সাদিককে মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) বিকেল চারটার মধ্যে অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যানের দপ্তরে সশরীর উপস্থিত হয়ে আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয়ে লিখিত ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়।

স্থানীয়রা জানায়, শিবলী সাদিক এমপি আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী ঘোষণার পর ২৮ নভেম্বর ঢাকা থেকে সকালে তার নির্বাচনী এলাকায় পৌঁছান। ঘোড়াঘাট উপজেলার মাজারপাড়া এলাকায় দলীয় নেতা-কর্মীরা তাকে সংবর্ধনা জানান। সেখান থেকে তিনি আজাদ মোড় এলাকায় আসেন। সেখানে তৈরি করা মঞ্চে বক্তব্য দেন তিনি। রানীগঞ্জ এলাকায় সংবর্ধনা শেষে নবাবগঞ্জ ও বিরামপুর উপজেলায় যান। পথে তার সঙ্গে তিন শতাধিক মোটরসাইকেল, কিছু মাইক্রোবাস ও খোলা ট্রাকে প্রায় দুই হাজার মানুষের বিশাল বহর ছিল। এ সময় সড়কের বিভিন্ন এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়।

এ বিষয়ে শিবলী সাদিক এমপি জানান, জানান, ‘গত ২৮ নভেম্বর ঘোড়াঘাট উপজেলার জিরো পয়েন্টে একটি সন্ত্রাসবিরোধী সভার আয়োজন করেছিলো দলীয় নেতা-কর্মীরা। একই দিনে ঢাকা থেকে আমিও দিনাজপুরে আসার পথে জিরো পয়েন্টে নেতা-কর্মীরা আমাকে সংবর্ধনা দিয়েছে। আমার বিরুদ্ধে তিনটি অভিযোগ ছিলো। এরমধ্যে হচ্ছে, মোটরসাকেলে শোডাউন, ব্যাপক সমাবেশ ও মঞ্চ তৈরি। আসলে গতবারে এসব নিয়ে কোন অভিযোগ ছিল না। তাই এসব আচরণবিধি বিষয়ে জানা ছিল না। এবার নির্বাচন কমিশন অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য নিয়ম শৃঙ্খলা ও আচরণবিধির মধ্যে এসব রেখেছে। এটা খুবই ভালো এবং প্রার্থীর জন্য সুসংবাদ। তাই এখন থেকে এসব আচরণবিধি প্রত্যেক প্রার্থীকে মেনে চলা প্রয়োজন। সেটা অঙ্গীকার করেছি, লিখিতভাবে জানিয়েছি।

(এস/এসপি/ডিসেম্বর ০৫, ২০২৩)