দীপক চন্দ্র পাল, ধামরাই : ঢাকার ধামরাইয়ের কালামপুর বাজারে ভালুম আতাউর রহমান খান স্কুল অ্যান্ড কলেজের জমি দখল করে অবৈধভাবে নির্মাণ করা চার তলা বিশিষ্ট হলি জেনারেল হাসপাতালটি গুড়িয়ে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত।

মঙ্গলবার বিকেলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ধামরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হোসাইন মোহাম্মদ হাই জকী বদলীর আগে ধামরাই উপজেলায় তার শেষ কর্মদিবসে এ অভিযান পরিচালনা করেন।

উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ধামরাইয়ের বড়াটিয়া গ্রামের বাসিন্দা কালামপুর সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের দলিল লেখক সমিতির সাধারণ সম্পাদক বদরুল আলম প্রায় ২০ বছর ধরে ভালুম আতাউর রহমান খান স্কুল অ্যান্ড কলেজের জমিতে চার তলা ভবন নির্মাণ করে হলি জেনারেল হাসপাতাল পরিচালনা করে আসছিল।

ওই জমি ছেড়ে দেওয়ার জন্য গত দেড় মাস আগেই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হোসাইন মোহাম্মদ হাই জকী নোটিশের মাধ্যমে তাকে জানিয়ে দেন। এরপরও দখলমুক্ত না করায় গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৯টায় দুটি এস্কেভেটর নিয়ে হাসপাতালের সামনে হাজির হন ইউএনও জকী।

এসময় চলমান হাসপাতালের রোগী ও মালামাল সরিয়ে নিতে দুপুর ২টা পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়। পরে মালামাল সরিয়ে নেওয়ার পর বেলা ৩টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত এস্কেভেটর দিয়ে ভবনটি গুড়িয়ে দেওয়া হয়।এসময় উদ্ধার করা প্রায় দুই কোটি টাকা মূল্যের জমি ভালুম আতাউর রহমান খান স্কুল অ্যান্ড কলেজ কর্তৃপক্ষকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়।এ সময় অসংখ্য উৎসুক জনতার উপস্থিতি ঘটে।

ধামরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হোসাইন মোহাম্মদ হাই জকী বলেন, কলেজের জমি দখল করে অবৈধভাবে গড়ে তোলা স্থাপনা সরিয়ে নেওয়ার জন্য কয়েক দফায় সতর্ক করা হয়েছে। কিন্তু ভবন মালিক তার অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে না নেওয়ায় এই উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এর আগে গত ২১ নভেম্বরও কালামপুর বাজারে আরও অর্ধশতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে কলেজের ৭০ শতাংশ জমি উদ্ধার করেন তিনি।

এ বিষয়ে জানার জন্য ভবন মালিক বদরুল আলমের মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি পরে কথা বলবেন বলে জানান।

অভিযানের সময় উপস্থিত ছিলেন ধামরাই উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) সূচি রাণী সাহা, ভালুম আতাউর রহমান খান স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান ও থানা পুলিশ।

(ডিসিপি/এএস/ডিসেম্বর ০৫, ২০২৩)