শেখ ইমন, শৈলকুপা : প্রায় ৪ লক্ষাধিক মানুষের জন্য একটি ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল। তবে রোগী সবসময় ধারণ ক্ষমতার তিনগুণ বেশি থাকে। একে তো অতিরিক্ত রোগী, তার উপর চিকিৎসক সংকট। ২২টি পদের মধ্যে ১২টি শূন্য, খাতা কলমে ১০ জন থাকলেও ট্রেনিং ও ছুটিতে থাকেন অনেকেই। ফলে যারা ডিউটিতে থাকেন চিকিৎসা দিতে হিমশিম খেতে হয় তাদের। উপ-সহকারী মেডিকেল অফিসার দিয়েই চলছে হাসপাতালের আউটডোরের সেবা। হাসপাতালে যথাযথ সেবা না পেয়ে অনেক রোগী ছুটছেন বেসরকারী ক্লিনিকে।

ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জুনিয়র কনসালটেন্ট পদ ১১টি। তবে তার মধ্যে ১০টি পদই শূন্য। জুনিয়র কনসালটেন্ট সার্জারি,জুনিয়র কনসালটেন্ট এ্যানেসথেসিয়া, জুনিয়র কনসালটেন্ট মেডিসিন, জুনিয়র কনসালটেন্ট গাইনি, জুনিয়র কনসালটেন্ট শিশু,জুনিয়র কনসালটেন্ট চর্ম ও যৌন, জুনিয়র কনসাল্টেন্ট অর্থোপেডিক, জুনিয়র কনসালটেন্ট ইএনটি, জুনিয়র কনসালটেন্ট চক্ষু সহ আরএমও পদটিও দীর্ঘদিন ধরে খালি রয়েছে। এছাড়া সহকারী সার্জন পদের পাঁচটির মধ্যে একটি পদ শূন্য রয়েছে। ফলে একদিকে যেমন চিকিৎসাসেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে চিকিৎসকদের তেমনি রোগীরাদেরও সেবা নিতে পড়তে হচ্ছে চরম বিপদে। দ্রুত শূন্য পদে ডাক্তার দিয়ে যথাযথ সেবা নিশ্চিত করার দাবী জানান এলাকাবাসী।

জরুরী বিভাগে কর্তব্যরত ডাক্তার শাহানেওয়াজ ইবনে কাসেম জানান, প্রতিদিনই এখানে ৬০ থেকে ৭০ টা রোগী ভর্তি হয়। এছাড়াও অনেক রোগী এখানে চিকিৎসা সেবা আসে, একজন ডাক্তারের পক্ষে এত রোগী সামাল দেওয়া খুবই কষ্টসাধ্য।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মাহফুজা খাতুন বলেন, চিকিৎসক সংকটে চিকিৎসা সেবা দিতে আমরা হিমশিম খাচ্ছি। দ্রুত চিকিৎসক নিয়োগ হলে আমরা রোগীদের কাঙ্খিত সেবা নিশ্চিত করতে পারব।

(এসআই/এসপি/ডিসেম্বর ০৬, ২০২৩)