সরদার শুকুর আহমেদ, বাগেরহাট : নববর্ষের প্রথম দিনে (১ জানুয়ারী) দুই জোড়া কমিউটার ট্রেন দিয়ে শুরু হচ্ছে মোংলা- যশোর রুটে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল। যাত্রী সুবিধার কথা বিবেচনা করে দেশের নতুন এই রুটে প্রথম যাত্রীবাহী কমিউটার ট্রেন চলাচল সূচিও ঘোষনা করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। মোংলা আন্তর্জাতিক সমুদ্রবন্দর সৃষ্টির ৭২ পর গত নভেম্বরে সারা দেশের সাথে রেল নেটওয়ার্কে যুক্ত হয় মোংলা বন্দর। গত ২ নভেম্বর খুলনার ফুলতলা ষ্টেশন থেকে মোংলা নতুন রেল পথের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর উদ্ধোধনের প্রায় দুই মাস পর দুই জোড়া কমিউটার ট্রেন দিয়ে শুরু হবে প্রথম রেল চলাচল। রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

রেলমন্ত্রী জানান, নববর্ষের প্রথম দিনে (১ জানুয়ারী) দেশের এই নতুন রুট মোংলা- যশোর থেকে দুই জোড়া কমিউটার ট্রেন দিয়ে প্রথম যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হবে। যাত্রীবাহী ট্রেন সার্ভিস চালুর দিনে মোংলা স্টেশন থেকে প্রথম কমিউটার ট্রেন ছাড়বে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে, ট্রেনটি যশোর স্টেশনে পৌঁছাবে দুপুর ১টা ৫ মিনিটে, যশোর স্টেশন থেকে দুপুর ১টা ৫৫ মিনিটে ছেড়ে মোংলা পৌঁছাবে বিকেল ৪টা ২৫ মিনিটে। মোংলা স্টেশন থেকে ট্রেন ছাড়বে বিকাল ৪টা ৫০ মিনিটে, যশোর স্টেশনে পৌঁছাবে সন্ধ্যা ৭টা ১০ মিনিটে। যশোর থেকে মোংলা পর্যন্ত ট্রেনের ভাড়া ধরা হয়েছে, শোভন সাধারণ ১২৫ টাকা, শোভন চেয়ার ১৫০ টাকা ও প্রথম শ্রেণির সিট ২০০ টাকা।

সরকার ২০১০ সালে মোংলা বন্দরকে রেল নেটওয়ার্কে সংযুক্তির পাশাপাশি সুন্দরবন কেন্দ্রীক পর্যটন, দেশের অভ্যন্তনসহ ট্রানজিট সুবিধার আওতায় ভারত, নেপাল ও ভুটানে আমদানী রপ্তানী পণ্য সাশ্রয়ী মূল্যে পরিবহন করতে খুলনার ফুলতলা রেলস্টেশন থেকে মোংলা বন্দর পর্যন্ত প্রায় ৯০ কিলোমিটার ব্রডগেজ রেলপথ নির্মাণ প্রকল্প হাতে নেয়। ১ হাজার ৭২১ কোটি টাকা প্রকল্পটি ৩ বছরে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও ১৩ বছর শেষ নির্মান ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ৪ হাজার ২৬০ কোটি টাকায়। খুলনার ফুলতলা থেকে মোংলা বন্দর পর্যন্ত দেশের নতুন এই রেলপথে ৯টি স্টেশন রয়েছে।

(এস/এসপি/ডিসেম্বর ০৬, ২০২৩)