বিশেষ প্রতিনিধি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া : ব্রাাহ্মবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলায় অটোচালক আরাফাত হত্যাকান্ডের রহস্য অবশেষে উদঘাটিত হয়েছে। ঘটনার পাঁচদিনের মধ্যে পুলিশ হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। ধৃতরা আজ আদালতে ১৬৪ ধারায় খুনের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।

বুধবার (৬ ডিসেম্বর) দুপুরে নবীনগর থানা কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন নবীনগর সার্কেলের দায়িত্ব থাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. সিরাজুল ইসলাম।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন, খুনের ঘটনার সঙ্গে সরাসরি জড়িত উপজেলার রতনপুর গ্রামের মৃত মো. মেহের আলীর ছেলে মো. মাঈনুদ্দিন (২৭), নারায়নগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানার মৃত মো. শুকুর আলীর ছেলে মো. ইছহাক (১৮)। এছাড়াও ঘটনার সঙ্গে জড়িত অটোরিক্সাটি অবৈধভাবে ক্রয় করার অপরাধে সোনারগাঁও থানার মৃত মো. আলীর ছেলে হোসেন মাহমুদ (৩৮)কেও গ্রেপ্তার করা হয়।

প্রেসব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নবীনগর সার্কেল) জানান, গত ৩০ নভেম্বর বৃহস্পতিবার আনুমানিক রাত ৯ টার দিকে বড়িকান্দি গনিশাহ্ মাজার থেকে দুইজন ছিনতাইকারী যাত্রীবেশে অটোচালক আরাফাতের অটোরিকশায় উঠে।

পরে যাত্রীবেশী ছিনতাইকারীরা আরাফাতকে রতনপুরের দিকে নিয়ে যায়। কিন্তু পথে রতনপুরের খাগাতুয়া জোড়া ব্রীজে অটোরিকশাটি উঠার পরই যাত্রীবেশী দুই ছিনতাইকারী চালক আরাফাতকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে। পরে আরাফাতের অটো রিকশা ও মোবাইল ফোন নিয়ে ধৃত দুই ঘাতক (যাত্রী) পালিয়ে যায়।

ওই রাতেই পুলিশ খবর পেয়ে অটোচালক আরাফাতের মরদেহ উদ্ধার করে।

এডিশনাল এসপি আরও জানান, এ ঘটনায় নিহতের পিতা এন্তাজ মিয়া বাদি হয়ে নবীনগর থানায় মামলা করার পর পুলিশ নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও উপজেলা থেকে অভিযান চালিয়ে হত্যাকান্ডে জড়িত উল্লেখিত ৩ জনকে গ্রেপ্তার করে। পরে ধৃতদের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করার পর তারা খুনের ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা পুলিশের কাছে স্বীকার করে।

এদিকে খুনীদের তথ্যমতে লুণ্ঠিত অটোরিক্সা, দুটি মোবাইল ফোন ও হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ছুরিটি উদ্ধার করে পুলিশ।

নবীনগর থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) সজল কান্তি দাশ জানান, ধৃতদের বুধবার বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হলে, ১৬৪ ধারায় খুনের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা সবাই স্বীকার করে। পরে আদালতের নির্দেশে তিনজনকে জেল হাজতে পাঠানো হয়।'

প্রসঙ্গত, গত ০১ ডিসেম্বর 'যাত্রীবেশী দুর্বৃত্তদের হাতে অটোরিক্সা চালক খুন' শিরোনামে উত্তরাধিকার ৭১ নিউজে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়।

(জিডিএ/এএস/ডিসেম্বর ০৬, ২০২৩)