মৌলভীবাজার: কুলাউড়ার একটি কেন্দ্রে পুরাতন প্রশ্নপত্রে এসএসসির পরীক্ষা নেয়ায় চরম উৎকণ্ঠায় পড়েছেন শিক্ষার্থীরা।

 

মঙ্গলবার সকালে উপজেলার আলী আমজদ উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে বাণিজ্যিক ভূগোলের নৈর্ব্যত্তিক পরীক্ষা নেয়া হয়েছে পুরাতন প্রশ্নপত্রে। এ কেন্দ্রের দুটি কক্ষে ১৭ জন শিক্ষার্থীকে সরবরাহ করা হয় আগের বছরের প্রশ্নপত্র।

 

শিক্ষার্থীদের অভিযোগে জানা গেছে, কেন্দ্র সচিবের খামখেয়ালীপনায় কেন্দ্রের দুটি কক্ষে ১৭ জন শিক্ষার্থীকে গেল  বছরের ৫০ নম্বরের নৈর্ব্যত্তিক প্রশ্নপত্র দিয়ে পরীক্ষা নেয়া শুরু করেন কক্ষ পরির্দশক। পনের মিনিট পার হওয়ার পর শিক্ষার্থীরা কক্ষ পরির্দশকের কাছে অভিযোগ করেন। কেন্দ্র সচিব ও আলী আমজদ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ঘটনা জেনে ২০ মিনিট পর ৪০ নম্বরের নতুন প্রশ্নপত্র দিয়ে ২০ মিনিটে পরীক্ষা শেষ করেন।

 

এর ফলে ৪০ মিনিটের নির্ধারিত সময়ের প্রশ্ন ২০ মিনিটে দিতে গিয়ে অনেক পরীক্ষার্থীকে হিমশিম খেতে হয়।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ৪/৫ জন শিক্ষার্থীর অভিভাবক অভিযোগ করেন, কেন্দ্র সচিব ও প্রধান শিক্ষক আব্দুল কাদিরের খামখেয়ালীপনা ও গাফিলতির কারণে ছেলে-মেয়েদের পরীক্ষার মূল্যবান ২০ মিনিট নষ্ট হয়েছে। তারা প্রধান শিক্ষককে অভিযুক্ত করে বলেন, তিনি প্রশ্নপত্র বদলে দিয়েছিলেন ঠিকই, কিন্তু সময় না বাড়ানোয় ৪০ মিনিটের নৈর্ব্যত্তিক প্রশ্নের উত্তর ২০ মিনিটে অনেকেই সম্পন্ন করতে পারেনি। এসব শিক্ষার্থীদের নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন অভিভাবকরা।

জানতে চাইলে আলী আমজদ উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের সচিব আব্দুল কাদির ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘ভুলে পুরাতন বছরের প্রশ্নপত্র দেয়া হয়েছিল। কিন্তু পরে চলতি বছরের প্রশ্ন ও উত্তরপত্র দিয়েই পরীক্ষা নেয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে ৫ মিনিট সময় বাড়িয়ে দেয়া হয়।’

কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শামছুল ইসলাম জানান, কেন্দ্র সচিব বিষয়টি আমাকে জানাননি। তবে বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখছি। অভিযোগ প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।