আবু নাসের হুসাইন, সালথা : গত বুধবার মধ্যরাত থেকে চলছে মৃদু বৃষ্টিপাত। বিরতহীন বৃষ্টিপাতের কারণে ফরিদপুরের সালথা উপজেলায় ফসলের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন কৃষকরা। তলিয়ে গেছে পেঁয়াজের হালির ক্ষেত ও হালি লাগানোর জন্য প্রস্তুত করা জমি। তবে কৃষি অফিস বলছে, মাঠে জমে থাকা বৃষ্টির পানি দ্রুত নেমে গেলে ফসলের তেমন ক্ষতি হবে না।

আজ শুক্রবারে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার বিভিন্ন মাঠের বেশিরভাগ ফসলি জমিতে বৃষ্টির পানি জমে গেছে। এতে অধিকাংশ মুড়িকাটা পেঁয়াজ ও পেঁয়াজের বীজতলার ক্ষেত এবং হালি লাগানোর জন্য প্রস্তুতকৃত জমি তলিয়ে গেছে বৃষ্টির পানিতে। কিছু এলাকায় অন্যান্য ফসলের ক্ষেতও তলিয়ে যেতে দেখা গেছে।

ভাওয়াল ইউনিয়নের ইউসুফদিয়া গ্রামের কৃষক কাইয়ুম মোল্যা বলেন, গত এবার সাড়ে চার বিঘা জমিতে পেঁয়াজের হালি লাগানোর জন্য প্রস্তুতি নিয়েছি। গত বুধবার পর্যন্ত দেড় বিঘা জমিতে পেঁয়াজের হালি লাগিয়েছি। বাকি ৩বিঘা জমিতে বৃষ্টির পানি জমে আছে। কবে পানি শুকাবে আর হালি লাগাবো সেটা বুঝা যাচ্ছে না।

একই ইউনিয়নের কৃষক সিরাজ মোল্যা বলেন, তিন বিঘা জমিতে পেঁয়াজ লাগানোর জন্য ৬কেজি পেঁয়াজের বীজের হালি আছে। অল্প কিছু জমিতে পেঁয়াজের হালি লাগানো শুরু করি। এরমধ্যে বৃষ্টি শুরু হয়। গত দুই দিনের বৃষ্টিতে আমার পেঁয়াজ ক্ষেত তুলিয়ে গেছে।

মো. ওমর মোল্যা নামে আরেক কৃষক বলেন, আমার পনে একবিঘা জমির পেঁয়াজের বীজতলা তলিয়ে গেছে। দ্রুত ক্ষেতের পানি না শুকালে বীজতলার চারা নস্ট হয়ে যেতে পারে। অন্যদিকে ২৬ শতাংশ জমির পাকা ধান কেটে ক্ষেতে রাখি। টানা বৃষ্টির পানিতে ওই ক্ষেত তলিয়ে যাওয়া কাটা ধান ঘরে তুলতে পারছি না।

সালথা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সুদর্শন শিকার বলেন, সালথায় এবার ১২০ হেক্টর জমিতে মুড়িকাটা পেঁয়াজের আবাদ করা হয়েছে। পেঁয়াজের বীজতলা আবাদ করা হয়েছে ৭৬০ হেক্টর জমিতে। এসব মুড়িকাটা পেঁয়াজ ও পেঁয়াজের বীজতলার বেশিরভাগ ক্ষেত তলিয়ে গেছে। ক্ষেতের পানি দ্রুত নামিয়ে ফেলতে কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। যদি আর বৃষ্টি না হয়, তাহলে তেমন ক্ষতি হবে না। আর বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে ফসলের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

(এএন/এসপি/ডিসেম্বর ০৮, ২০২৩)