ঈশ্বরদী প্রতিনিধি : রুশ রাষ্ট্রীয় পরমাণু শক্তি কর্পোরেশন রসাটম নতুন প্রজন্মের ইউনিভার্সাল নিউক্লিয়ার আউসব্রেকারের জন্য অধিক উন্নত ও দক্ষ আরআইটিএম-২০০ রিয়্যাক্টর ব্যবহার করে অসাধারণ ফলাফল অর্জনে সক্ষম হয়েছে। সম্প্রতি এমনই একটি রিয়্যাক্টর ভেসেল তৈরির কাজ রসাটমের যন্ত্রপ্রকৌশল শাখার অধীনস্থ পাদলস্ক কারখানায় সম্পন্ন হয়েছে বলে রসাটমের গণমাধ্যম জানিয়েছে। চুকোতকা নিউক্লিয়ার আইসব্রেকারে এটি স্থাপন করা হবে।

চুকোতকা আইসব্রেকারের জন্য নির্মিত প্রথম রিয়্যাক্টরটি চলতি বছরের অক্টোবর মাসে সরবরাহ করা হয়েছে। পরবর্তী কাজের জন্য সদ্য নির্মিত দ্বিতীয় রিয়্যাক্টরটি চলতি বছরের শেষ নাগাদ এটি সেন্ট পীটার্সবার্গের বাল্টিক শীপইয়ার্ডে স্থানান্তর করা হবে।

জানা গেছে, ২০১২ সাল থেকে পাদলস্ক কারখানায় ইউনিভার্সাল নিউক্লিয়ার আইসব্রেকারের জন্য দশটি পারমাণবিক রিয়্যাক্টর তৈরি হয়েছে। এই রিয়্যাক্টরগুলো আর্কটিকা, সিবির, উরাল, ইয়াকুতিয়া এবং চুকোতকা আইসব্রেকারে বসানো হয়েছে বা হবে।

রসাটমের মহাপরিচালক আলেক্সি লিখাচেভ এ প্রসঙ্গে বলেন, “আমাদের নতুন ইউনিভার্সাল নিউকিয়ার আইসব্রেকারে আরআইটিএম-২০০ রিয়্যাক্টরগুলো তাদের প্রমান করতে পেরেছে। এই রিয়্যাক্টরগুলোর ওপর নির্ভর করে নর্থ সী রুটে চলাচল অনেকটাই সহজ ও কার্যকরী করা সম্ভব হয়েছে। চুকোতকার বাইমন্সক অঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য ভাসমান পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র গুলো এবং একই সঙ্গে ইয়াকুতিয়া অঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য স্থল বিদ্যুৎকেন্দ্র গুলোর ‘হার্ট’ হিসেবে কাজ করবে এজাতীয় রিয়্যাক্টরগুলো”।

রসাটম যন্ত্রপ্রকৌশল শাখার প্রধান ইগর কতভ জানান, মূলত জাহাজে ব্যবহৃত আরআইটিএম- ২০০ রিয়্যাক্টর গুলোর কর্মদক্ষতা বিশ্বে সর্বোচ্চ। এই রিয়্যাক্টর গুলো ব্যবহারকারী আইসব্রেকার গুলোর গতি এবং বরফ কাটার সক্ষমতা অনেকাংশেই বেশি।

রাশিয়ার ইউনিভার্সাল নিউক্লিয়ার আইসব্রেকার গুলোতে যে পাওয়ার ইউনিট রয়েছে তার প্রতিটিতে স্থাপন করা হয়েছে দুটি আরআইটিএম-২০০ রিয়্যাক্টর, যার প্রতিটির উৎপাদন ক্ষমতা ১৭৫ মেগাওয়াট। আরআইটিএম- ২০০ রিয়্যাক্টরের ডিজাইনার এবং ইন্টার্নাল গুলো প্রস্তুত ও সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান হলো আফ্রিকান্তভ ওকেবিএম। জিওপাদলস্ক এর দায়িত্ব হলো রিয়্যাক্টর ভেসেল নির্মান এবং পরীক্ষামূলক এসেম্বলী।

(এসকেকে/এসপি/ডিসেম্বর ০৯, ২০২৩)