বগুড়া প্রতিনিধি : বগুড়ার ধুনটে মুক্তিপনের দাবীতে অপহৃত শিশু শিক্ষার্থীকে ১০ দিন আটক রেখে ধর্ষন করা হয়েছে। আটকের পর অপহরনকারী যুবক শফিকুল ইসলাম সেতু (২৫) পুলিশের কাছে এ স্বীকারোক্তি দিয়েছে।

শনিবার ভোর ৫টায় খাটিয়ামারী বাজার এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।

পুলিশ ও অপহৃত শিশুর পরিবারের সদস্যরা জানায়, উপজেলার খাটিয়ামারী গ্রামের বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী আবু সাইদের মেয়ে স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী। ২৯ অক্টোবর বিকেলে ওই শিশু শিক্ষার্থী স্কুল থেকে বাড়ি ফিরছিল। পথিমধ্যে গজিয়াবাড়ী গ্রামের সোহরাব আলীর ছেলে শফিকুল ইসলাম সেতু তাকে অপহরন করে। অপহরনের পর ওই শিশুকে ঢাকার বউ বাজার এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় আটক রাখে। সেখানে ১০ দিন আটক রেখে ওই শিশুকে নিয়মিত ধর্ষন করেছে। অন্যদিকে শিশুকন্যার পরিবারের নিকট ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপন দাবী করে।

এ ঘটনায় শিশু’র বাবা গত ১ নভেম্বর ধুনট থানায় সাধারণ ডাইরী করে। মুক্তিপন দেওয়ার কথা বলে ফাঁদ পেতে কৌশলে শনিবার ভোরে শফিকুল ইসলামকে আটক ও একই সঙ্গে শিশু শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করা হয়। অপহৃত শিশুটি উদ্ধারের পর ধর্ষনের অভিযোগ করলে অপহরকারী শফিকুল পুলিশের নিকট দায় স্বীকার করেছে।

ধুনট থানার ওসি জিয়াউর রহমান পিপিএম বলেন, শফিকুল ইসলাম সেতু ঢাকা শফিপুর এলাকায় রিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে। গত কয়েক দিন আগে সে ঢাকা থেকে গজিয়াবাড়ি গ্রামের বাড়িতে আসে। গত ২৯ অক্টোবর সোহরাব আলীর শিশুকন্যাকে অপহরণ করে ঢাকায় নিয়ে যায়। মুক্তিপনের অর্থ দেওয়ার ফাঁদ পেতে কৌশলে শফিকুল ইসলাম সেতুকে আটক ও অপহৃত শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়েছে।

এক প্রশ্নের জবাবে ওসি জিয়াউর রহমান বলেন, ধর্ষনের অভিযোগ ওঠার কারনে শিশুটিকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগে পাঠানো হবে। এ ঘটনায় ধুনট থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।

(এএসবি/এটিআর/নভেম্বর ০৮, ২০১৪)