নবী নেওয়াজ, পাবনা : টানা তিন মেয়াদে পাবনা-৫ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক খন্দকার প্রিন্স। চতুর্থ দফায় এমপি হওয়ার জন্য দল থেকে তাঁকে নৌকা প্রতীক দেওয়া হয়েছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য তাঁর দেওয়া হলফনামা ঘেঁটে পাওয়া গেছে অবাক করা কিছু তথ্য। এতে দেখানো হয়েছে, গত পাঁচ বছরে তাঁর আয় কমেছে ৫ কোটি ১৯ লাখ ২৯ হাজার ১৬৪ টাকা। তবে এই সময়ে সম্পদ বেড়েছে ৭ কোটি ২০ লাখ ৮৭ হাজার ২৮৭ টাকার। একাদশ নির্বাচনের হলফনামায় জেলা আওয়ামী লীগের এই সাধারণ সম্পাদকের মোট সম্পদের মূল্য উল্লেখ করা হয়েছিল ১৩ কোটি ৫৪ লাখ ৪৫ হাজার ৫২৫ টাকা। দ্বাদশ নির্বাচনের হলফনামায় সম্পদ দেখানো হয়েছে ১৬ কোটি ৭৩ লাখ ৩৪ হাজার ৭৯২ টাকায়। তবে এতে ৪ কোটি ১ লাখ ৯৮ হাজার ২০ টাকার এফডিআরের তথ্য উল্লেখ করা হয়নি। এ ছাড়া ২০০৮ সালের হলফনামায় প্রিন্সের সম্পদ ছিল ৪৭ লাখ ৯৮ হাজার টাকার। সে তুলনায় সম্পদ বেড়েছে ৩২ গুণ।

এবারে হলফনামায় প্রিন্স সর্বমোট সম্পদ দেখিয়েছেন ১৬ কোটি ৭৩ লাখ ৩৪ হাজার ৭৯২ টাকা। এর মধ্যে গত পাঁচ বছরে আয় করেছেন ১ কোটি ১০ লাখ ৩৬ হাজার ৭৪২ টাকা। একাদশ নির্বাচনে তাঁর আয় ছিল ৬ কোটি ২৯ লাখ ৬৫ হাজার ৮৮৮ টাকা। এবার সম্পদ বৃদ্ধি দেখানো হয়েছে ৩ কোটি ১৮ লাখ ৮৯ হাজার ২৬৭ টাকার।

সূত্র জানায়, অস্থাবর সম্পত্তি হিসেবে দেখানো হয়েছে তাঁর হাতে নগদ আছে ১ লাখ টাকা, এফডিআর আছে ৪ কোটি ১ লাখ ৯৮ হাজার ২০ টাকা, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা আছে ৩ কোটি ৬২ লাখ ৯৩ হাজার ৮৮৩ টাকা, উত্তরা ব্যাংকের শেয়ার আছে ৪ লাখ ৯০ হাজার টাকা, এমপির সুবিধাপ্রাপ্ত হার্ডকারের দাম ৭৭ লাখ ৭৮ হাজার ৬৮৫ টাকা, ১০ ভরি স্বর্ণের দাম ধরা হয়েছে ৫০ হাজার টাকা। সর্বমোট অস্থাবর সম্পতির মূল্য ৭ কোটি ৫৬ লাখ ১২ হাজার ৫৬৮ টাকা। একাদশ নির্বাচনের সময় অস্থাবর সম্পত্তি ছিল ৩ কোটি ৪৫ লাখ ৪ হাজার ৭৫৪ টাকা। তাঁর স্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ ৮ কোটি ৬ লাখ ৮৫ হাজার ৫৮২ টাকা। একাদশ নির্বাচনে স্থাবর সম্পত্তি ছিল ৩ কোটি ৭৯ লাখ ৭৪ হাজার ৮৮৩ টাকা। শিক্ষাগত যোগ্যতা এমএসএস পাস এবং পেশা হিসেবে ঠিকাদারি উল্লেখ করেন। তাঁর নামে তিনটি ফৌজদারি মামলা হলেও সবগুলো থেকে তিনি খালাস ও অব্যাহতি পেয়েছেন।

আয় ও সম্পদের হিসাবে গরমিলের বিষয়ে এমপি প্রিন্স বলেন, বিভিন্ন ব্যবসা থেকে আয় ভালো হওয়ায় সম্পদ বেড়েছে। হলফনামার হিসাবনিকাশ একজন সহকারী করায় কিছুটা গরমিল হতে পারে।

(এন/এসপি/ডিসেম্বর ১০, ২০২৩)