স্ত্রীর নির্যাতন ও মামলার হুমকিতে দিশেহারা স্বামী
রিয়াজুল রিয়াজ, বিশেষ প্রতিনিধি : কুমিল্লার দেবিদ্দার উপজেলার ছোট শালগড় এলাকার মেয়ে মোছাম্মদ সাবিকুন নাহার মুক্তা স্বামীর উপর নির্যাতন ও স্বামীকে মামলার হুমকির কারণে দিশেহারা হয়ে পড়েছে তার স্বামী মোঃ কামরুজ্জামান সরকার।
মোসাম্মৎ সাবিকুন্নাহার মুক্তার স্বামী মোহাম্মদ কামরুজ্জামান সরকারের পরিবারর জানান, দেবিদ্দার উপজেলার ছোট শালগড় ইউনিয়নের মোসাম্মৎ সাবিকুন নাহার মুক্তার সাথে মোঃ কামরুজ্জামান সরকারের পারিবারিক সম্মতিতে ২০২০ সালে বিয়ে হয় ।
বিয়ের পরবর্তি সময়ে তাদের দাম্পত্য জীবনের শুরুটা আনন্দময় হলে এক বছর যেতে না যেতেই শুরু হয় পারিবারিক কলহ। এরই জেরে পর্যায়ক্রমে স্ত্রী মোছাম্মদ সাবিকুন্নাহার মুক্তা স্বামীকে ঘায়েল করতে বিভিন্নভাবে শারীরিক নির্যাতন ও কিছু হলেই বিভিন্ন মামলার হুমকি দিয়ে আসছে। বিয়ের এক বছর পর থেকে বিনা কারণে স্বামীকে না জানিয়ে বাবার বাড়ি চলে যায়। বাবার বাড়ি চলে যাওয়ার পর স্বামীর পরিবারসহ স্বামী একাধিকবার ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করে। কিন্তু চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয় উল্টো স্বামী আনতে গেলে স্বামীকে মারধর করে।
অতঃপর স্বামী মোঃ কামরুজ্জামান সরকার স্থানীয় সমাজপ্রতিদের ধারে ধারে ঘুরে ব্যর্থ হয় হয়ে অবশেষে গণমাধ্যম কর্মিদের শরণাপন্ন হয়।
ভুক্তভোগী স্বামী মোঃ কামরুজ্জামান সরকার জানান, ২০২০ সালের উভয় পক্ষের সম্মতিক্রমে আমাদের বিয়ে হয়। শুরুতে ভালো কাটছিলো। পরবির্ততে ছোটখাটো সমস্যা নিয়ে প্রায়ই মনোমালিন্য হতো। আমার বৃদ্ধা মা ও বাবাকে প্রতিনিয়ত ঝগড়া, শারীরিক নির্যাতন ও মামলার হুমকি দিয়ে থাকে। উল্লেখ্য যে, কিছুদিন পরই সে কিছু না বলে তার বাবার বাড়ি চলে যায় এবং ২০ লাখ টাকা না দিলে সে আর সংসারে ফিরবে না বলে সাব জানিয়ে দেয়। পরে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও গণ্যমাণ্য ব্যক্তিদের সমন্বয়ে পূণরায় আমার বাড়ীতে আনতে ব্যর্থ হই।
মোঃ কামরুজ্জামান সরকার আরো জানান, একাধিক ব্যক্তি আমাকে আমার স্ত্রীর পরকিয়া সম্পর্কে অবহিত করে। আমারও ধারনা সে কারো সাথে পরকিয়ায় লিপ্ত। মো: কামরুজ্জামান সরকার তার স্ত্রীকে ফিরে পেতে উকিল নোটিশ পাঠিয়েছেন ও আইনিভাবে চেষ্টা করছেন । পাশাপাশি স্থানীয় প্রশাসনের সু-দৃষ্টি কামনা করেন তিনি।
(আরআই/এসপি/ডিসেম্বর ১৪, ২০২৩)