রিয়াজুল রিয়াজ, বিশেষ প্রতিনিধি : দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে ৩০ লক্ষ শহীদের প্রাণ আর দুই লক্ষ মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত বাংলাদেশের স্বাধীনতা। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পশ্চিম পাকিস্তানের হায়েনাদের হাত থেকে মহান বিজয় লাভ করে বাংলাদেশ। এই দিনটি 'বিজয় দিবস' হিসাবে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়েছে ফরিদপুর সদরের কানাইপুর ইউনিয়নের পুরদিয়া গ্রামে অবস্থিত আনসার আলী মিয়া দাখিল মাদ্রাসায়।

আনসার আলী মিয়া দাখিল মাদ্রাসার আয়োজনে ও সহকারি শিক্ষক এনামুল হাসানের পরিচালনায় আজ ১৬ ডিসেম্বর শনিবার জাঁকজমকপূর্ণভাবে পালন করা হয় দিনটি। আজ সকালে সকল শিক্ষক বৃন্দের উপস্থিতিতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন সহ অন্যান্য কর্মসূচী পালন করা হয়। এছাড়া পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত ও তসবিহ তাহলীল পাঠ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন অত্র প্রতিষ্ঠানের সকল শিক্ষক ও কর্মচারীবৃন্দ।

এরপর আনসার আলী মিয়া দাখিল মাদ্রাসার 'ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সোবহান ভবন' হলরুমে ‘মহান বিজয় দিবস’ উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় সহকারি সুপার প্রশাসন হারুন অর রশীদের সভাপতিত্বে ও সহকারী শিক্ষক আমির হোসেনের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন বদর উদ্দিন আনসারী, সিয়াম হোসাইন প্রমুখ।

সভাপতিত্বকালে হারুন অর রশীদ বলেন, ‘হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, বাংলাদেশের স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ১৯৭১ সালে ১৬ ডিসেম্বর আমরা বিশ্বের মানচিত্রে লাল-সবুজের বাংলাদেশ পেয়েছি। আমরা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করি তাদেরকে, যারা আমাদের স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন। আজ আমাদের এই স্বাধীন দেশে কর্মস্থানের লক্ষ্যে বিভিন্ন পদে বসার সুযোগ করে দিয়েছেন। যত নেতৃবৃন্দ বলি, জনপ্রতিনিধি বলি দেশ যদি স্বাধীন না হতো তাহলে আজ আমরা কেউ এসব পদে আসতে পারতাম না।

তিনি আরো জানান, আমরা পশ্চিম পাকিস্তানীদের কাছে পরাধীনতার গ্লানি নিয়ে জীবন কাটাতাম। বঙ্গবন্ধু উপলদ্ধি করতে পেরেছিলেন যে, কোনো জাতি যদি পরাধীন থাকে তাহলে উন্নত লাভ করতে পারবে না। এই শোষিত, নিষ্পেষিত মানুষের কথা চিন্তা করে তিনি স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন।’ সকলের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘আজকে আপনাদের মনে রাখতে হবে বঙ্গবন্ধুর ডাকে বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করেছে।

প্রধানমন্ত্রীর পাশে আমাদের থাকতে হবে, তার দিকনির্দেশনা আমাদের মেনে চলতে হবে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির কারনে ইতিপূর্বে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ৫০ লক্ষ মানুষকে টিসিবি’র পণ্যের ব্যবস্থা করেছেন।’

আলোচনা সভা শেষে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ কারী সকল শহীদের আত্মার মাগফেরাত এবং দেশের মঙ্গল কামনায় দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন সিনিয়র সহকারী মৌলভী মুফতি মুস্তাফিজুর রহমান।

(আরআর/এএস/ডিসেম্বর ১৬, ২০২৩)